কুরআনিক সাইন্স একটি বহুমুখী ধারণা যা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়। একটি প্রেক্ষিতে এটি কুরআনের আয়াতগুলিতে বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত বিষয়াবলী সম্পর্কে গবেষণা ও আলোচনার ক্ষেত্রকে বোঝায়। আরেকটি প্রেক্ষিতে, এটি কুরআনের বিজ্ঞানসম্মত দিকগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত কুরআনিক সায়েন্স পার্কের কথাও বোঝাতে পারে।
কুরআন ও বৈজ্ঞানিক মিলের গবেষণা: অনেক গবেষক ও পণ্ডিত কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের মিল খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন। এই গবেষণার উদ্দেশ্য কুরআনের সার্বজনীনতা ও সত্যতা প্রমাণ করা। ড. এম শমশের আলী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য, এ বিষয়ে গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। তিনি কুরআনিক সাইন্সে তার গবেষণাকর্মের কথা ইরানের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতে তুলে ধরেছিলেন।
কুরআনিক সায়েন্স পার্ক: কুরআনিক সাইন্স পার্ক হল একটি থিম পার্ক যা কুরআনের বিজ্ঞানসম্মত দিকগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরার একটি উদ্যোগ। এই পার্কে কুরআনুল কারীমে উল্লেখিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও বিষয়গুলিকে আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ করে উপস্থাপন করা হবে। এই ধরনের পার্ক বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘কুরআনিক পার্ক’ এবং কাতারের দোহায় ‘কুরআন বোটানিক গার্ডেন’। বাংলাদেশেও র’দিয়া আইএনসি নামের একটি বেসরকারি সংস্থা ঢাকায় একটি ‘কুরআনিক সায়েন্স পার্ক’ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
কুরআন ও সুন্নাহর বৈজ্ঞানিক নিদর্শন বিষয়ক কমিশন: এটি একটি সংস্থা যা কুরআন ও সুন্নাতে পাওয়া বৈজ্ঞানিক নিদর্শন প্রচার করার জন্য প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮৪ সালে সৌদি আরবে প্রতিষ্ঠিত এই কমিশন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। কমিশনের কাজ ও কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন মতামত ও সমালোচনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুরআনিক সাইন্স সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।