কিয়ার স্টারমার: একজন আইনজীবী থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী
স্যার কিয়ার রডনি স্টারমার কে.সি.বি., কিউ.সি., এম.পি. (জন্ম: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬২) একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির বিজয়ের পর তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর আগে ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি লেবার পার্টির নেতা এবং বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে হোলবর্ন এবং সেন্ট প্যানক্রাসের সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন। স্টারমার একজন অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের পাবলিক প্রসিকিউশনের ডিরেক্টর (ডিপিপি) এবং ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান ছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ক প্রশ্নে তিনি একজন প্রতিবাদী আইনজীবী হিসেবে খ্যাত।
লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী স্টারমার সারেতে বেড়ে ওঠেন। রিগেট গ্রামার স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন। পরে লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে ব্যারিস্টার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং মানবাধিকার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। ২০০২ সালে তিনি কুইন্স কাউন্সেল হিসেবে নিযুক্ত হন এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড পুলিশিং বোর্ড ও অ্যাসোসিয়েশন অব পুলিশ অফিসারসের মানবাধিকার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডিপিপি হিসেবে কাজের সময় তিনি স্টিফেন লরেন্স হত্যাকাণ্ড সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়ে কাজ করেন। ২০১৪ সালে ‘নাইট কমান্ডার অব দ্য অর্ডার অব দ্য বাথ’ উপাধি লাভ করেন। ২০১৭ সালে প্রিভি কাউন্সিলর হিসেবে শপথ নেন।
২০১৫ সালে লেবার পার্টির হয়ে হোলবর্ন এবং সেন্ট প্যানক্রাস আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ব্রেক্সিটের ছায়া সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে লেবার পার্টি জয়ী হয় এবং তিনি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন।
স্টারমারের রাজনৈতিক অবস্থান ও মতাদর্শ নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। তাকে মাঝে মাঝে কেন্দ্রবাদী বলা হলেও, তিনি নিজেকে প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে চিহ্নিত করেন।