কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান

নাটোরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে ওই মহাশ্মশানে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে তরুণ কুমার দাসের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অজ্ঞাত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তাকে হত্যা করে ভাণ্ডার কক্ষ থেকে কাঁসার পাতিল, গামলাসহ কিছু মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।

তরুণ কুমার দাস শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি মাঝে মধ্যে কুকুরের সাথে খেলা করতেন এবং তাদের সাথে খাবার ভাগাভাগি করে খেতেন। শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি শ্মশানের কর্মচারী ছিলেন না, বরং মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভবঘুরে হিসেবে সেখানে থাকতেন। কিছু গণমাধ্যম তাকে মন্দির ও মহাশ্মশানের সেবায়েত বা পাহারাদার হিসেবে উল্লেখ করলেও, দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এই তথ্য অস্বীকার করেছেন।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নাটোরের কাশিমপুর মহাশ্মশানে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে, সংগঠনের নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট খগেন্দ্র নাথ রায় বিবৃতিতে তরুণের পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করার কথা বলেছেন এবং সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুলিশ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে এবং আশা করছে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। রাজশাহী থেকে সিআইডি এবং ক্রাইমসিন ইউনিট এই তদন্তে সহায়তা করছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নাটোরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরের হত্যা
  • হত্যাকাণ্ডের পর চুরির ঘটনা
  • পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে
  • কাশিমপুর মহাশ্মশানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
  • বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্যের বিকৃতি

গণমাধ্যমে - কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান