কামরুজ্জামান ফিরোজ, বিখ্যাত আইনজীবী, লেখক ও রাজনীতিক, ১৮৯৩ সালের ৭ই মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লাহোরের এচিসন কলেজে অধ্যয়ন শেষে ১৯১২ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডন যান এবং অক্সফোর্ডের ওয়াদহাম কলেজ থেকে ১৯১৬ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের ইনার টেম্পল থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯১৭ সালে সারগোদায় আইন ব্যবসা শুরু করেন এবং পরে লাহোর হাইকোর্টে যোগদান করেন। ১৯২১ সালে শাহপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে পাঞ্জাব আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯২৭-১৯৩৬)। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনার ছিলেন। ভাইসরয়ের নির্বাহী কাউন্সিলে শ্রম ও প্রতিরক্ষা সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন (১৯৪১-১৯৪৫)। মুসলিম লীগে যোগদান করে পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন (১৯৪৭ ও ১৯৫৫)। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৩ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁর আমলে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৫৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবর সামরিক আইন জারির ফলে প্রধানমন্ত্রী পদচ্যুত হন। ফিরোজ খান নুন ‘কানাডা অ্যান্ড ইন্ডিয়া’, ‘উইজডম ফ্রম ফুলস্’, ‘ইলাস্ট্রেটেড ইন্ডিয়া’, ‘সেন্টেড ডাস্ট’ ও ‘ফ্রম মেমোরি’ সহ বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সম্মাননা ও খেতাব লাভ করেন। তাঁর স্ত্রী ভিকারুন্নেসা নুন ঢাকায় ভিকারুন্নেসা নুন প্রিপারেটরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭০ সালের ৯ই ডিসেম্বর সারগোদায় মৃত্যুবরণ করেন।
কামরুজ্জামান ফিরোজ
মূল তথ্যাবলী:
- কামরুজ্জামান ফিরোজ ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক ও রাজনীতিক
- তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন
- পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারে মন্ত্রী এবং ভারতীয় হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন
- পাকিস্তানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন
- পূর্ববঙ্গের গভর্নর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন
- ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি পূর্ববঙ্গের গভর্নর ছিলেন
- তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন
গণমাধ্যমে - কামরুজ্জামান ফিরোজ
সংবাদ সম্মেলনে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবির সাথে সম্মতি জানান।