কাতার

কাতার: পারস্য উপসাগরের মুক্তা

কাতার, আধুনিক বিশ্বের এক অসাধারণ দেশ। পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত এই ক্ষুদ্র দেশটি তার প্রাকৃতিক সম্পদ, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বিখ্যাত। কাতার উপদ্বীপে অবস্থিত এই দেশটি দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে বাহরাইন দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে সীমান্ত ভাগ করে।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

প্রাচীনকালে কাতার বিভিন্ন সভ্যতার আশ্রয়স্থল ছিল। পারস্য, গ্রীক, এবং আরব সভ্যতার প্রভাব কাতারের ইতিহাসে স্পষ্ট। ইসলামের আগমনের পর কাতার মুসলিম বিশ্বের অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে। আল-থানি বংশ ১৮শ শতকের শেষভাগ থেকে কাতার শাসন করে আসছে। ১৯৭১ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি।

অর্থনীতি:

তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদের কারণে কাতার অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই সম্পদের কারণে দেশটির মাথাপিছু আয় বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম। কাতার তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (LNG) শীর্ষ রফতানিকারী দেশ। তবে, অর্থনীতির ব্যাপক নির্ভরশীলতা তেল ও গ্যাসের উপর একটি ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়। কাতার ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে, যা অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

জনসংখ্যা ও সংস্কৃতি:

কাতারের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩ মিলিয়ন। এর মধ্যে কাতারি নাগরিকের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। বিশাল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক কাতারের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। কাতারের সংস্কৃতি ইসলাম ধর্মের প্রভাবে গড়ে উঠেছে। আরবি ভাষা দেশটির সরকারি ভাষা।

রাজনীতি:

কাতার একটি সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র। তামিম বিন হামাদ আল থানি বর্তমান আমীর।

গুরুত্বপূর্ণ স্থান:

দোহা (রাজধানী), আল ওয়াকরা, আল খুর, লুসাইল (বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম)

কাতারের ভবিষ্যৎ:

কাতার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য সাধন এবং অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এই ক্ষুদ্র কিন্তু সমৃদ্ধ দেশটি বিশ্বের নজর কেড়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • কাতার পারস্য উপসাগরের একটি সমৃদ্ধ দেশ।
  • তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল মজুদ রয়েছে।
  • ২০২২ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে।
  • আল-থানি বংশ দীর্ঘদিন ধরে কাতার শাসন করে।
  • দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিচিত।

গণমাধ্যমে - কাতার

১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

কাতারে যুদ্ধবিরতি আলোচনা হচ্ছে।