কাজী বাদশা মিয়া: একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বর্ণনা
এই নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তাই স্পষ্টতার জন্য আমরা তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করব।
১. মুক্তিযোদ্ধা কাজী বাদশা মিয়া:
এই কাজী বাদশা মিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার আলাদাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে চাকরি করার সময় মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। যুদ্ধের সময় তিনি ২ নম্বর সেক্টরের গঙ্গাসাগর সাব-সেক্টরে, এবং পরবর্তীতে ১০ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সাথে ফেনীর বিলোনিয়া, সলিয়ারদীঘি, পরশুরাম প্রভৃতি স্থানে যুদ্ধ করেছিলেন। ১৩ আগস্ট, ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে চরমপন্থী দমন অভিযানে আহত হয়ে মারা যান। সাহসিকতার জন্য তাকে বাংলাদেশ সরকার বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।
২. খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী বাদশা মিয়া:
এই কাজী বাদশা মিয়া খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলেন। তিনি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতিরও সাবেক সভাপতি ছিলেন। আইনজীবী সমিতির তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
৩. মা হত্যা মামলার আসামি কাজী বাদশা মিয়া:
এই কাজী বাদশা মিয়া টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাসিন্দা এবং ১৯৯৬ সালে তার মাকে হত্যার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পান। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর আত্মগোপনে ছিলেন এবং নাম পরিবর্তন করে ঢাকায় বসবাস করতেন। শেষ পর্যন্ত র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪. ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী বাদশা মিয়া:
এই কাজী বাদশা মিয়া ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন নেতা। সালথার গট্টি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারের রাজনৈতিক বিরোধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন কাজে জড়িত থাকার কারণে বিভ্রান্তি হতে পারে। উপরের বিস্তারিত বর্ণনাগুলি বিভিন্ন কাজী বাদশা মিয়াদের পৃথক করে চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে।
disambiguesTitle