সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছারিবাড়ি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই ঐতিহাসিক কুঠিবাড়িটি ১৮৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর নিলামে কিনে নেন। নীলকরদের অধীনে থাকার পর ঠাকুর পরিবারের কাছে এটি কাছারি এস্টেট হিসেবে পরিচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত এখানে বসবাস করেছেন এবং ‘সোনার তরী’, ‘বৈষ্ণব কবিতা’, ‘দুইপাখি’, ‘গীতাঞ্জলী’র মতো অনেক বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন। ১৯৭১ সালের পর সরকার কাছারিবাড়িটিকে জাদুঘরে রুপান্তরিত করে। বর্তমানে এটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। জাদুঘরে রবীন্দ্রনাথের হস্তলিখিত, ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, দুটি বোট এবং পালকি সংরক্ষিত আছে। কাছারিবাড়ির পাশে একটি পুরনো, জরাজীর্ণ ভবনও আছে, যা কাছারিবাড়ির প্রাচীন অংশ বলে মনে করা হয়। ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এই ভবনটির সংস্কারের জন্য আন্দোলন চলছে। শাহজাদপুর কাছারিবাড়ি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সাহিত্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সমৃদ্ধ করেছে। তবে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী জমিদারবাড়িও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতির সাথে যুক্ত। এই দুটি কাছারিবাড়ির মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য আরও তথ্যের প্রয়োজন। আমরা আপনাকে ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত তথ্য দিয়ে আপডেট করব।
কাছারিবাড়ি
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৮৪০ সালে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কাছারিবাড়ি কিনে নেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০-১৮৯৬ সাল পর্যন্ত এখানে বসবাস করেন ও রচনা করেন।
- ১৯৭১ সালের পর কাছারিবাড়িটি জাদুঘরে পরিণত হয়।
- কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের হস্তলিখিত, ছবি, ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে।
- কাছারিবাড়ির পাশে একটি পুরনো, জরাজীর্ণ ভবনও রয়েছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - কাছারিবাড়ি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাছারিবাড়ি উদ্বোধন করেন।