কাকরাইল মারকাজ মসজিদ: ঢাকার একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ
ঢাকার কাকরাইল এলাকায়, রমনা পার্কের নিকটবর্তী অবস্থানে কাকরাইল মসজিদ অবস্থিত। বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মসজিদ হিসেবে এটি বিখ্যাত। এই মসজিদের ইতিহাস বেশ প্রাচীন, যদিও এর সঠিক প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রতিষ্ঠাতা নিয়ে কিছু মতবিরোধ রয়েছে। কিছু কিছু মতে, প্রায় ৩০০ বছর আগে ঢাকার নবাব পরিবারের একজনের উদ্যোগে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। আবার অন্যদের ধারণা, ১৯৪০-এর দশকে রমনা পার্কের মালিরা টিনের তৈরি একটি ছোট মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, যা পরবর্তীতে বর্তমান মসজিদে রূপান্তরিত হয়। মসজিদের আদি নাম ছিল 'মালওয়ালি মসজিদ'।
১৯৫২ সালে তাবলীগ জামাত কাকরাইল মসজিদকে তাদের মারকাজ বা কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬০-এর দশকে প্রকৌশলী হাজী আব্দুল মুকিতের তত্ত্বাবধানে এই তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। বর্তমান মসজিদের স্থাপত্যে ত্রিভুজাকৃতির কারুকার্য, চৌকোণা স্তম্ভ এবং ঢেউ খেলানো পশ্চিম দেয়াল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। মসজিদের তিনটি দিকে প্রশস্ত বারান্দা এবং অজু করার জন্য পুকুর আছে। মসজিদের নিকটেই টয়লেট ও বাথরুমের জন্য একটি দোতলা ভবন নির্মিত।
বর্তমানে মসজিদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তাবলীগ জামাতের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এই দ্বন্দ্বের কারণে কখনও কখনও মসজিদটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। তবে বর্তমানে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উভয় পক্ষ পর্যায়ক্রমে মসজিদ পরিচালনা করে থাকে।
কাকরাইল মসজিদ বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাবলীগ জামাতের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত। এই মসজিদের ইতিহাস, স্থাপত্য এবং তাবলীগ জামাতের সাথে এর সম্পর্ক বাংলাদেশের ইসলামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভবিষ্যতে আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে এই লেখাটি সম্পূর্ণ করা হবে।