টাঙ্গাইলের করটিয়ার সুন্দরী খাল: ঐতিহ্যের সাক্ষী, বর্তমানের ক্ষত
একসময়ের স্রোতবিনী, সৌন্দর্যের প্রতীক, টাঙ্গাইলের করটিয়ার সুন্দরী খাল এখন ময়লা-আবর্জনার ভাগারে পরিণত। একসময় জমিদার পন্নী পরিবারের রাজস্ব আদায় ও যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহৃত এই খালটি, বাংলার আলীগড় হিসেবে পরিচিত সরকারি সা’দত কলেজসহ অনেকের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম ছিল। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালটি লৌহজং নদীর সাথে ঝিনাই নদীর সংযোগ স্থাপন করে।
জমিদার পন্নী পরিবার খালটি সংস্কার করে ঝকঝকে করে তুলেছিল। পাল তোলা নৌকা, জমিদারদের বাহারি রঙের নৌকার চলাচল ছিল এই খালে। করটিয়া কাপড়ের হাটের কারণেও খালের গুরুত্ব ছিল অনেক। কিন্তু পাকা রাস্তার উন্নয়নের পর খালের গুরুত্ব কমতে শুরু করে। অবৈধ দখল, দূষণ, ময়লা-আবর্জনা ফেলায় খালটির অস্তিত্ব সংকটে পরে।
আজ সুন্দরী খালের দুপাশে অবৈধ স্থাপনা, ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ, রোগব্যাধি বহনকারী মশা-মাছি পরিবেশকে অসহনীয় করে তুলেছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য খালের উন্মুক্তকরণ ও বেদখলমুক্তকরণের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে। টাঙ্গাইল প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব উপদেষ্টা ড. মাহমুদুল হাসান সহ অনেকেই এই ঐতিহ্যবাহী খালের পুনরুদ্ধার এবং পূর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার আশাবাদী।
উল্লেখ্য, করটিয়ার সুন্দরী খাল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সীমিত। আমরা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত তথ্য প্রাপ্তি করলে এই লেখাটি আপডেট করব।