বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি নাবিকদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নৌ-অধিদপ্তর কঠোর অবস্থানে রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি ও বিদেশি কোম্পানির জাহাজ থেকে ১৯ জন নাবিক পালিয়ে গেছে। এদের বিরুদ্ধে নৌ-আদালতে মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। নৌ-অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া সকল নাবিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাদের গ্যারান্টারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও জানান, নাবিকদের পালিয়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের অনেক বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের তীরে নামার অনুমতি নেই, যা দেশের সুনাম নষ্ট করছে। এছাড়াও, আমেরিকা, ইউরোপসহ অনেক দেশের বন্দরে নাবিকদের নামার অনুমোদন নেই, ফলে জরুরি প্রয়োজনেও নাবিকরা তীরে নামতে পারছেন না। মেঘনা গ্রুপের ক্যাপ্টেন আমান উল্লাহ চৌধুরী জানান, আমেরিকা বন্দরে জাহাজ গেলে চারজন বডিগার্ড রাখতে হয়, যার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। কমোডর মাকসুদ আলম পালিয়ে যাওয়া নাবিকদের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছেন এবং আগামীতে যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
কমোডর মাকসুদ আলম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯ জন নাবিক পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নৌ-অধিদপ্তর কঠোর অবস্থানে।
- পালিয়ে যাওয়া নাবিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।
- বিদেশী বন্দরে বাংলাদেশি নাবিকদের তীরে নামার অনুমতি নেই।
- আমেরিকা বন্দরে জাহাজে বডিগার্ড রাখার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
- নৌ-অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মাকসুদ আলমের কঠোর অবস্থান।
গণমাধ্যমে - কমোডর মাকসুদ আলম
নৌ-অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং নাবিকদের পালানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।