চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ডিপো পরিচালনার বিষয়টি সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিগত সরকার কর্তৃক বিদেশি অপারেটরদের সাথে সম্পাদিত কিছু চুক্তি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই চুক্তিগুলো পাবলিক টেন্ডার ছাড়াই গোপনে সম্পাদিত হওয়ায় এবং দেশীয় ক্ষমতাশালী অপারেটরদের উপেক্ষা করার অভিযোগে আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলামার্ক কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আনোয়ার হোসেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়েছে যে, চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত কনটেইনার ডিপোগুলোর পরিচালনার জন্য দেশীয় সক্ষম ও দক্ষ কনটেইনার হ্যান্ডলিং অপারেটরদের উপেক্ষা করে গোপনে বিদেশি অপারেটরদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। এই চুক্তি বাতিল এবং ভবিষ্যতে পাবলিক টেন্ডারের মাধ্যমে এই ধরনের বিনিয়োগ আহ্বান জনিত প্রক্রিয়া অবলম্বনের দাবী করা হয়েছে।
এই বিতর্ক চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও জাতীয় অর্থনীতিতে তার প্রভাবের প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশি অপারেটরদের হাতে ডিপোগুলো তুলে দিলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাবে এবং চাকরির সংখ্যা কমে যাবে। তাই এই চুক্তি বাতিল করে সরকারের নিজস্ব নীতি অনুসারে পাবলিক টেন্ডার প্রক্রিয়া দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরের আশপাশে স্থাপিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সুরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার দিকটিও এই বিতর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।