ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড: প্রবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ
বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা নিরাপদে বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হল ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড। ১৯৮১ সালে চালু হওয়া এই বন্ড ৫ বছর মেয়াদী এবং সরল সুদের হারে মুনাফা প্রদান করে।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের বৈশিষ্ট্য:
- মূল্যমান: ২৫,০০০ টাকা, ৫০,০০০ টাকা, ১,০০,০০০ টাকা, ২,০০,০০০ টাকা, ৫,০০,০০০ টাকা, ১০,০০,০০০ টাকা এবং ৫০,০০,০০০ টাকা।
- মেয়াদ: ৫ বছর
- মুনাফার হার: মেয়াদান্তে ১২% (সরল সুদে), মেয়াদপূর্তির পূর্বেও ধাপে ধাপে মুনাফা উত্তোলন করা যায়।
- ক্রয়ের ঊর্ধ্বসীমা: পূর্বে সীমা ছিল, কিন্তু বর্তমানে কোন সীমা নেই।
- ক্রয়: বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত তফসিলী ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ হাউস এবং এক্সচেঞ্জ কোম্পানি থেকে ক্রয় করা যায়।
- অন্যান্য সুবিধা: ৪০% থেকে ৫০% পর্যন্ত মৃত্যু-ঝুঁকির সুবিধা, ষান্মাসিক মুনাফা প্রদান, বন্ডের বিপরীতে ঋণ গ্রহণের সুবিধা, নমিনি নিয়োগের সুবিধা, হারিয়ে গেলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যু, আয়কর মুক্ত।
কোন কোন ব্যক্তি ক্রয় করতে পারবেন:
- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ওয়েজ আর্নারগণ।
- বিদেশে লিয়েনে কর্মরত সরকারী, সংবিধিবদ্ধ ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
- বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
২০২৩ সালে বড় পরিবর্তন:
সরকার ২০২৩ সালে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিয়েছে। এখন প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়াও, স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগের সুবিধাও আরও উন্নত করা হয়েছে।
উপসংহার:
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড প্রবাসীদের জন্য একটি নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগের মাধ্যম। উচ্চ মুনাফার হার এবং বিভিন্ন সুবিধার কারণে এটি বহু প্রবাসীর কাছে জনপ্রিয়। নতুন সুবিধাগুলোর ফলে এটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।