ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি অঙ্গরাজ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং গতিশীল অর্থনীতির জন্য বিখ্যাত। ১৮৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগে, এটি ব্রিটিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিতর্কের বিষয় ছিল। জর্জ ওয়াশিংটনের নামানুসারে নামকরণ হওয়া এই রাজ্যটির রাজধানী অলিম্পিয়া, এবং সিয়াটল হল এর বৃহত্তম শহর। ৭১,৩৬২ বর্গ মাইল (১,৮৪,৮৩০ কিমি²) আয়তনের এই রাজ্যে প্রায় ৭৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস করে।
ওয়াশিংটনের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য অসাধারণ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল, ক্যাসকেড পর্বতমালা, অলিম্পিক পর্বতমালা, এবং পূর্বে অর্ধ-শুষ্ক অববাহিকা অঞ্চল রয়েছে। মাউন্ট রেইনিয়ার, রাজ্যের সর্বোচ্চ শিখর (১৪,৪১১ ফুট), একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। রাজ্যের পশ্চিম অংশ ঘন বনভোজন, নাতিশীতোষ্ণ বৃষ্টিবন এবং মনোমুগ্ধকর হিমবাহ দ্বারা সমৃদ্ধ।
ওয়াশিংটনের অর্থনীতি বহুমুখী। কৃষি, কাঠের উৎপাদন, মাছ ধরা, প্রযুক্তি এবং উচ্চ শিক্ষা, এই সব ক্ষেত্রেই এটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বোয়িং, মাইক্রোসফ্ট, স্টারবাকস এবং অ্যামাজনের মতো বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলি এই রাজ্যেই অবস্থিত।
ওয়াশিংটনের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা রয়েছে। ১৮৪৬ সালের ওরেগন চুক্তি, ক্যাসকাডিয়া ভূমিকম্প (১৭০০), কেনেউইক ম্যান-এর আবিষ্কার (১৯৯০-এর দশক), এই সব ঘটনা রাজ্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। মার্কাস হুইটম্যান এবং হাডসন বে কোম্পানির মতো ব্যক্তি ও সংস্থার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। আদিবাসীদের সাথে বসতি স্থাপনকারীদের সম্পর্ক ও সংঘাত ওয়াশিংটনের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
আজকের ওয়াশিংটন একটি আধুনিক, উন্নত রাজ্য যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য মিশ্রণ।