এমএ সামাদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

এম.এ. সামাদ: বাংলাদেশের বীমা শিল্পের এক অমূল্য সম্পদ

বাংলাদেশের বীমা শিল্পের ইতিহাসে এম.এ. সামাদের নাম সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, একজন দক্ষ প্রশাসক, এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিজিআইসি) এর প্রতিষ্ঠাতা। তার ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তার অবদান স্মরণ করছি।

জীবনবীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করার পর, ১৯৮৫ সালে তিনি বেসরকারি খাতের প্রথম নন-লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান বিজিআইসি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা ছিল। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার ফলে বিজিআইসি দ্রুতই বাজারে আধিপত্য বিস্তার করে।

এম.এ. সামাদ শুধুমাত্র একজন ব্যবসায়ী ছিলেন না; তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। তিনি বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা পরিচালক ছিলেন এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই বীমা সম্পর্কিত বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেছেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তিনি সম্মানিত ছিলেন। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্পর্কিত টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামে তিনি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন এবং ইউএনডিপির অধীনে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে বীমা শিল্প সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

এম.এ. সামাদের কর্মজীবন ছিল বর্ণাঢ্য। তিনি একজন সফল প্রশাসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যার প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল বাস্তবতা, যুক্তি, এবং মানবিকতা। তার দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা এবং কর্মীদের প্রতি তার মায়া-মমতা সবাইকে আকর্ষণ করত। তার আদর্শ ও উপদেশ অনুসরণ করে অনেকেই বীমা শিল্পে সফল হয়েছেন।

আমাদের কাছে তিনি শুধুমাত্র একজন চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন না, বরং একজন দিক নির্দেশক, একজন প্রেরণা। আমরা তার অনুপস্থিতি অনুভব করি প্রতিদিন। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।

মূল তথ্যাবলী:

  • বিজিআইসির প্রতিষ্ঠাতা
  • বাংলাদেশের বীমা শিল্পের পথিকৃৎ
  • জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ
  • লেখক ও শিক্ষাবিদ
  • দক্ষ প্রশাসক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।