জাতিসংঘের অধীনে কার্যকরী একটি বিশেষায়িত সংস্থা হলো খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অনাহার দূরীকরণে কাজ করে। এফএও উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি নিরপেক্ষ ফোরাম হিসেবে কাজ করে, যেখানে নীতিমালা আলোচনায় সমস্ত জাতি সমান অংশগ্রহণ করে।
এফএও কৃষির আধুনিকায়ন, উন্নত বন ব্যবস্থাপনা এবং মৎস্য চর্চা, সকলের জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এদের ল্যাটিন নীতিবাক্য, "fiat panis", যার অর্থ "রুটি হোক"। ২০১৩ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত এফএও-এর ১৯৪টি সদস্য রাষ্ট্র ছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (সদস্য সংস্থা) এবং ফারো দ্বীপপুঞ্জ ও টোকেলাউ সহযোগী সদস্য হিসেবে ছিল।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট ড. কু ডংগিউ (Qu Dongyu) এফএও-এর ৯ম মহাপরিচালক নিযুক্ত হন এবং ২০২৩ সালের ২ জুলাই তিনি আগামী ৪ বছরের জন্য পুনরায় নিযুক্ত হন।
এফএও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে, যেমন: খাদ্যের ক্ষতি ও অপচয় কমানো, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, স্থায়ী কৃষি পদ্ধতি প্রচার, গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এফএও-এর কার্যক্রম সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যক্তি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সাল থেকে এফএও এর সাথে কাজ করছে। এফএও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে তবে খাদ্য আমদানির উপর নির্ভরশীলতাও বেড়েছে।