এনসিটিবি

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের দায়িত্ব পালন করে। ১৯৮৩ সালে 'জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ' এর মাধ্যমে 'স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড' এবং 'জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্র'-কে একীভূত করে এনসিটিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে এর ইতিহাস অনেক পুরোনো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর 'পূর্ববঙ্গ স্কুল টেক্সটবুক কমিটি' গঠিত হয়, যার কাজ ছিল প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন করা। পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে 'টেক্সটবুক আইন' এর মাধ্যমে 'স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড' গঠিত হয়। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে 'বাংলাদেশ স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড' নামে পরিচিত হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বর্তমানে এনসিটিবি প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রম নির্ধারণ, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের কাজ করে। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হয়, যা শিক্ষার আওতা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে 'জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮' পাশ হওয়ার মাধ্যমে এনসিটিবি-র আইনগত ভিত্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে। বর্তমানে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী (পাঠ্যপুস্তক), অধ্যাপক রবিউল করিম চৌধুরী (শিক্ষাক্রম), অধ্যাপক এ এফ এম সরোয়ার জাহান (প্রা.শি.) এবং সচিব জনাব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস উল্লেখযোগ্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • এনসিটিবি বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান।
  • ১৯৮৩ সালে স্কুল টেক্সটবুক বোর্ড ও জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্র একীভূত হয়ে এনসিটিবি গঠিত হয়।
  • এনসিটিবি পাঠ্যক্রম নির্ধারণ ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে।
  • ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে।
  • ২০১৮ সালে এনসিটিবির জন্য একটি নতুন আইন পাশ হয়।

গণমাধ্যমে - এনসিটিবি