২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশজুড়ে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনার পর, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়। এই লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার একটি ব্যাপক উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ২৫শে আগস্ট সরকার ১৫ বছরের মধ্যে দেওয়া সকল বেসামরিক অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে এবং ৩য় সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রগুলো জমা দিতে নির্দেশ দেয়। এরপর, ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব এবং আনসারের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান শুরু হয় লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। এই অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে বহু অস্ত্র, গোলাবারুদ, টিয়ার গ্যাসের সেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৮৮০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। রাজধানীতে ১৮৯৮টি অস্ত্র লুট হয়েছিল, যার মধ্যে ৪৫৩টি উদ্ধার করা গেছে। অভিযানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাটোরে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধারের ঘটনাও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই উদ্ধার অভিযানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি এনামুল হক সাগর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্ধারিত অস্ত্রের সংখ্যা ও গ্রেফতারের সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে। অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার রোধ করা।
উদ্ধার অভিযান
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ৫ই আগস্ট ২০২৪-এ সরকার পতনের পর বিপুল অস্ত্র লুট হয়।
- ২৫শে আগস্ট সরকার লাইসেন্স স্থগিত করে এবং ৩য় সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশ দেয়।
- ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
- অভিযানে হাজার হাজার অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
- অনেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - উদ্ধার অভিযান
কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে।
কর্ণফুলী নদীতে দুই তরুণের ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার অভিযান চলছে।