উগান্ডা সরকার

আপডেট: ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২৬ পিএম

উগান্ডা (সোয়াহিলি: Uganda), আনুষ্ঠানিকভাবে উগান্ডা প্রজাতন্ত্র (সোয়াহিলি: Jamhuri ya Ugandaa nne) পূর্ব আফ্রিকার একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র। ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে উগান্ডার রাজনৈতিক ইতিহাস অস্থিরতার দ্বারা চিহ্নিত। স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় সরকার এবং বৃহত্তম আঞ্চলিক রাজ্য বুগান্ডার মধ্যে সম্পর্ক ছিল প্রধান রাজনৈতিক সমস্যা। মিল্টন ওবোটের নেতৃত্বে উগান্ডা পিপলস কংগ্রেস (ইউপিসি) এবং কাবাকা ইয়েক্কা (কেওয়াই) এর মধ্যে জোটবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার পর প্রথম সরকার গঠিত হয়েছিল। কিন্তু বুগান্ডার বিশেষ মর্যাদা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বুগান্ডার প্রতি অসাধু মনোভাব সর্বদা ধন্দ্বের কারণ হয়েছে। ১৯৬৬ সালে মিল্টন ওবোট সংবিধান স্থগিত করে একক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেন এবং বুগান্ডার রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ১৯৭১ সালে ইদি আমিনের সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে আট বছরের নৃশংস একনায়কত্ব শুরু হয়। আমিনের শাসনামলে অনেক মানুষ নিহত হয় এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়। ১৯৭৯ সালে তানজানিয়ার সহায়তায় আমিনের পতন ঘটে। পরবর্তী বছরগুলিতে বিভিন্ন সামরিক অভ্যুত্থান এবং গৃহযুদ্ধের পর ১৯৮৬ সালে ইওওয়েরি কাগুতা মুসেভেনি ক্ষমতায় আসেন এবং বর্তমানেও তিনিই দেশের রাষ্ট্রপতি। মুসেভেনির শাসনামলে উগান্ডা অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করেছে, কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সমস্যা এখনও বিদ্যমান। উগান্ডার সংবিধান বহু-দলীয় রাজনীতির অনুমতি দেয়, কিন্তু মুসেভেনি ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রায়ই রাজনৈতিক কৌশল ও নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। উগান্ডার বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা জটিল এবং বহুমুখী, যার মূলে রয়েছে ঐতিহাসিক উপজাতীয় দ্বন্দ্ব, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা লড়াই।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে উগান্ডার স্বাধীনতা
  • মিল্টন ওবোটের একনায়কত্ব এবং ১৯৬৬ সালে সংবিধান স্থগিত
  • ইদি আমিনের নৃশংস একনায়কত্ব (১৯৭১-১৯৭৯)
  • ১৯৮৬ সালে ইওওয়েরি মুসেভেনির ক্ষমতা দখল
  • উগান্ডার অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্যা
  • বহু-দলীয় রাজনীতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - উগান্ডা সরকার

৭ জানুয়ারী ২০২৫

উগান্ডার সরকার এই ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।