ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ: ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের সেতুবন্ধন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। ইসলামের আদর্শ, মূল্যবোধ ও শিক্ষার প্রসার ঘটানো এবং ইসলামী কর্মকান্ড পরিচালনাই এর প্রধান লক্ষ্য। ১৯৭৫ সালের ২২শে মার্চ প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি দারুল উলুম ও বায়তুল মোকাররম সোসাইটির ধারাবাহিকতায় গড়ে উঠেছে। শেখ মুজিবুর রহমান এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
প্রতিষ্ঠার পূর্বে, ১৯৫৯ সালে ঢাকায় ইসলামের শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে বায়তুল মোকাররম সোসাইটি এবং দারুল উলুম (পরে ইসলামিক একাডেমী) প্রতিষ্ঠিত হয়। আবুল হাশিম ইসলামিক একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর সময়ে ইসলামিক একাডেমীকে রাজনীতিতে ইসলামকে জড়িত করার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন নামে নতুন প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বিস্তৃত ও বহুমুখী। ঢাকার প্রধান কার্যালয় ছাড়াও, ৭টি বিভাগীয় কার্যালয়, ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ২৯টি ইসলামিক প্রচারণা কেন্দ্র কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করে। এর প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
- ইসলামী গ্রন্থ প্রকাশনা ও অনুবাদ:
- ইমামদের প্রশিক্ষণ:
- মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম:
- যাকাত বোর্ডের মাধ্যমে দুস্থদের সহায়তা:
- দ্বীনি দাওয়াত ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি:
- জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির পরিচালনা:
- ইসলামী গবেষণা ও প্রকাশনা:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭৮ সালে ও.আই.সি.-এর উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭৯-৮০ সাল থেকে ফাউন্ডেশনের উন্নয়ন গতি পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে ফাউন্ডেশনের কার্যালয় বায়তুল মোকাররম থেকে আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।