ইসমাইল হোসেন জিসান

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:০৯ পিএম

ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলা: তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড

সাড়ে পাঁচ বছর আগে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। তাদের মধ্যে শাওন পলাতক রয়েছে।

দণ্ডিতদের মধ্যে হাসিব গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাটের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুল্লাহ মোল্লার ছেলে এবং নোমান বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের পঞ্চকরণের জাকির হোসেন ওরফে খোকনের ছেলে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সজনী আক্তার নামের একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি পাঠাওয়ের কাজ করতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ বাদী হয়ে গাজীপুরের গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিসানের নিখোঁজের জিডি করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্যকামার জুড়ি এলাকায় হাসিবুল হোসেনের বাসার সেফটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে একই বছরের ২৩ মে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন জিসানের বাবা। মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুজানুর ইসলাম। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ৩০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড।
  • ২০১৯ সালের ১২ মে শ্যামলী থেকে নিখোঁজ হন জিসান।
  • ২৩ মে গাছা থানাধীন এলাকায় তার লাশ উদ্ধার।
  • ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল।
  • রোববার (৫ জানুয়ারি) আদালত রায় ঘোষণা করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।