ইমামবাড়ী শব্দটি দ্ব্যর্থক। এটি দুইটি ভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে দুটি ইমামবাড়ীর উল্লেখযোগ্য তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো:
১. আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী: ১৯৩০ থেকে ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন আব্দুল মোমিন। তিনি হুসাইন আহমদ মাদানীর খলিফা ছিলেন এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণকারী আব্দুল মোমিন জামিয়া সাদিয়া রায়ধর ও ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করার পর দারুল উলুম দেওবন্দে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। তিনি ইমামবাড়ী মাদ্রাসা, দিনারপুর বালিধারা মাদ্রাসা, হবিগঞ্জের উমেদনগর টাইটেল মাদ্রাসা, বিশ্বনাথের জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসা এবং হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তিনি জামিয়া মাদানিয়া নবীগঞ্জের মুহতামিম ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ইমামবাড়ী মাদ্রাসায় শিক্ষাসচিব, মুহতামিম ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি জামিয়া দারুল কুরআন সিলেটের প্রধান শায়খুল হাদিস ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি জমিয়তে তুলাবায়ে আরবিয়ার সদস্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম হবিগঞ্জ জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সালের ২৪ জুন তিনি জমিয়তের পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হন এবং আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে জমিয়তের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২. ইমামবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন: এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন। ১৮৯৬ সালে কুমিল্লা-আখাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ স্থাপনের সময় এই স্টেশনটি নির্মিত হয়।
উল্লেখ্য, আরও ইমামবাড়ীর বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পর আমরা নিবন্ধটি আপডেট করব।