ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেসের জনসংখ্যাতত্ত্বের অধ্যাপক শ্রীনিবাস গোলি বিবিসিকে জানিয়েছেন যে দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্য কার্যকর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছে। তিনি বলেছেন যে এই রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং কেন্দ্রীয় রাজস্বে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ২০২৬ সালে নির্বাচনি সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে জনসংখ্যার পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দক্ষিণের রাজ্যগুলির সংসদীয় আসন কমে যেতে পারে এবং কেন্দ্রীয় রাজস্ব বণ্টনে প্রভাব পড়তে পারে। মি. গোলি মনে করেন যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা সম্ভব এবং রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে ভারত ধনী হওয়ার আগেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনসংখ্যার যত্ন নেওয়ার জন্য যথেষ্ট লোকবলের অভাব রয়েছে। তিনি দ্রুত প্রজনন হার হ্রাসের ফলে সমাজে বৃদ্ধ বয়সের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিও সতর্ক করেছেন এবং স্বাস্থ্যসেবা, কমিউনিটি সেন্টার এবং বৃদ্ধাশ্রমগুলিকে এমন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন। মি. গোলি ২০৪৭ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবীণদের জন্য সম্পদ বরাদ্দ করার সুযোগের কথা উল্লেখ করেছেন।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস
মূল তথ্যাবলী:
- দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
- ২০২৬ সালে নির্বাচনি সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে দক্ষিণের রাজ্যগুলির আসন কমে যেতে পারে।
- ভারত ধনী হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং প্রবীণদের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।
- প্রজনন হার হ্রাসের ফলে বৃদ্ধ জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সুযোগ রয়েছে।