ইতিহাস বিকৃতি

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ এএম

ইতিহাস বিকৃতি: একাধিক দৃষ্টিকোণ

বাংলাদেশের ইতিহাস, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ, নিয়ে বিতর্ক ও মতবিরোধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন উপাদান নিয়ে উঠে আসা মতবিরোধ ও তাদের ব্যাখ্যা তুলে ধরা হয়েছে।

৩০ লাখ শহিদ: বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক মন্তব্য করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হওয়ার তথ্য ইতিহাস বিকৃতি। তিনি বলেছেন যে, এই সংখ্যা গণনা করে দেখানো হয়নি। অন্যদিকে, অনেক ইতিহাসবিদ এই সংখ্যার সমর্থনে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে থাকেন।

মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক: জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক দাবি করা নিয়ে বিতর্ক থাকে। বিএনপির নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় ও থাকে যেখানে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৯৭১ এর সংবিধান: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সংবিধান হয়েছিল, তার বিকৃতি নিয়েও বিতর্ক থাকে। বিএনপির নেতা মনে করেন, এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং তার বিকৃতি গ্রহণযোগ্য নয়।

বঙ্গবন্ধু ও ৭ই মার্চের ভাষণ: ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা থাকা নিয়ে মতবিরোধ থাকে। কিছু মহল এই ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা হিসাবে নয়, রাজনৈতিক একটি বক্তৃতা হিসেবে মনে করেন। অন্যদিকে, অনেক ইতিহাসবিদ এই ভাষণকে স্বাধীনতার প্রাক্-ঘোষণা হিসাবে বিবেচনা করেন।

রাজাকারদের ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের ভূমিকা ও ইতিহাস বিকৃতির বিষয় থেকে বাদ পড়েনি। বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে বিভিন্ন মতামত থাকে।

অন্যান্য: ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ তোলা হয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনায় নানা রকম উপাদান ধরে। এ নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা চলতে থাকা প্রয়োজন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ
  • মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও ঘোষক নিয়ে বিতর্ক
  • ১৯৭১ সালের সংবিধানের বিকৃতি
  • ৭ই মার্চের ভাষণের ব্যাখ্যায় মতবিরোধ
  • রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।