ইটভাটা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইটের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের অধিকাংশ নির্মাণ কাজেই ইট ব্যবহৃত হয়। ইটভাটা, যেখানে এই ইট তৈরি হয়, সেগুলোর ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই জড়িত। পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়) নগরীর নির্মাণকাজেই পোড়ানো ইটের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। আধুনিক ইটভাটাগুলোতে কাদামাটি সংগ্রহ, প্রক্রিয়া, শুকানো ও পোড়ানোর বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। প্রাথমিকভাবে কাঠ ও কয়লা ব্যবহার হলেও, অনেক ইটভাটাতে এখন প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু ইটভাটা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে থাকে। তবে, অনেক ইটভাটা অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। উদাহরণস্বরূপ, রাঙ্গুনিয়ার এক ইউনিয়নেই ৭০টির অধিক অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৬,০০০ ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা প্রতি বছর প্রায় ১৮ বিলিয়ন ইট তৈরি করে। অধিকাংশ ইটভাটা শুষ্ক মৌসুমে সচল থাকে। আধুনিক প্রযুক্তি ও বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নতমানের ইট উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। তবে পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে ইটভাটার উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরী।
ইটভাটা
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলাদেশের নির্মাণ কাজে ইটের অপরিসীম গুরুত্ব
- প্রাচীনকাল থেকেই ইটের ব্যবহারের ইতিহাস
- আধুনিক ইটভাটার উৎপাদন পদ্ধতি
- অনেক ইটভাটার অবৈধতা ও পরিবেশগত ঝুঁকি
- প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারী ইটভাটা
- বছরে ১৮ বিলিয়ন ইট উৎপাদন
গণমাধ্যমে - ইটভাটা
২৩/১২/২০২৪
রাউজানে ইটভাটায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।