ইজমির: তুরস্কের পশ্চিম আনাতোলিয়ার একটি ঐতিহাসিক ও প্রাণোদ্দীপক মহানগর। ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারার পর তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর এবং এজিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত বৃহত্তম মহানগর এলাকা। ইজমিরের ইতিহাস ৩০০০ বছরেরও বেশি, এমনকি নব্যপ্রস্তর যুগের (নব্যপ্রস্তর যুগ) আদি মানব বসতির ইতিহাস ৮৫০০ বছরেরও বেশি। প্রাচীন গ্রীকদের কাছে এটি 'স্মির্না' নামে পরিচিত ছিল।
ভৌগোলিক অবস্থান:
ইজমির উপসাগরের তীরে অবস্থিত, উত্তরে গেদিজ নদীর ব-দ্বীপ, পূর্বে ছোটো ছোটো ঝর্ণার সৃষ্ট পলল সমভূমি, এবং দক্ষিণে কিছুটা অসমতল ভূমি।
জনসংখ্যা:
২০১৯ সালে শহরের জনসংখ্যা ছিল ২,৯৬৫,৯০০ এবং ইজমির প্রদেশের জনসংখ্যা ছিল ৪,৩৬৭,২৫১।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
ইজমিরের অতীত রোমান, বাইজেন্টাইন, সেলজুক, অয়দিন বেইলিক, উসমানীয় ও গ্রীক শাসনের সাক্ষী। ১৯১৯ সালে গ্রীক সেনার আগমন এবং ১৯২২ সালে তুর্কি সেনার শহর দখলের ঘটনা ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯২২ সালের বৃহৎ অগ্নিকাণ্ডে গ্রীক ও আর্মেনিয়ানদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়। লোজান চুক্তির পর ১৯২৩ সালে গ্রীস ও তুরস্কের মধ্যে জনসংখ্যা বিনিময় হয়। ২০২০ সালে ইজমিরে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামী আঘাত হানে।
অর্থনীতি:
ইজমির তুরস্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। বন্দর শহর হিসেবে এটির অর্থনীতিতে শিল্প, ব্যবসা, পরিবহন ও যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এটি তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক প্রদেশ।
উল্লেখযোগ্য স্থান:
আদনান মেন্ডেরেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইজমির ক্লক টাওয়ার, কেমেরালতি বাজার, আগোরা ওপেন এয়ার মিউজিয়াম, কাদিফেকালে, ইজমির প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর। এছাড়াও, ইজমিরে ৯টি সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
খ্যাতি:
প্রাচীন ইতিহাস, কৌশলগত অবস্থান, বন্দর কেন্দ্র, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, আধুনিক অবকাঠামো ইজমিরের খ্যাতি বৃদ্ধির কারণ।