ইউনিলিভার: একটি বিশ্বব্যাপী ভোগ্যপণ্য জায়ান্ট
ইউনিলিভার একটি বহুজাতিক কোম্পানি যা বিশ্বজুড়ে খাদ্য, পানীয়, পরিষ্কারক পণ্য এবং প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন করে। নেদারল্যান্ডসের রটারডামে এর সদর দপ্তর অবস্থিত। ১৯২৯ সালে ডাচ মারজারিন ইউনি এবং ব্রিটিশ সোপমেকার লিভার ব্রাদার্সের মিলন থেকে এই দৈত্যাকার প্রতিষ্ঠানের জন্ম। এর ৪০০-এর বেশি পণ্য বিশ্বের ১৯০ টিরও বেশি দেশে বিক্রি হয়। ২০১৭ সালে এর টার্নওভার ছিল ৫৩.৭ বিলিয়ন ইউরো। ল্যাক্স, ডোভ, ওমো, লিপটন, ম্যাগনাম, রেক্সোনা, সানসিল্ক—এই সবই ইউনিলিভারের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড।
ইতিহাসের পাতায়:
- ১৮৭২: স্যামুয়েল ভ্যান ডেন বার্গ নেদারল্যান্ডসের অসে প্রথম মারজারিন কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
- ১৮৮৮: অসের আরেকজন অধিবাসী স্যামুয়েল ভ্যান ডেনবার্গ তার মারজারিন কারখানা স্থাপন করেন।
- ১৯২৯: ডাচ মারজারিন ইউনি এবং লিভার ব্রাদার্স একত্রিত হয়ে ইউনিলিভার গঠন করে।
- ১৯৩০: আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ইউরোপে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ব্যবসা বৃদ্ধি।
- ১৯৪৩: টি.জে. লিপটন (বার্ডস আইয়ের স্বত্বাধিকারী) ও ব্যাচেলর পিস অধিগ্রহণ।
- ১৯৫৪: সানসিল্ক বাজারে আত্মপ্রকাশ।
- ১৯৫৭: ডোভ বাজারে আত্মপ্রকাশ।
- ১৯৬১: গুড হিউমার আইস্ক্রিম কোম্পানি অধিগ্রহণ।
- ১৯৭১: লিপটন অধিগ্রহণ।
- ১৯৯৩: ক্রাফটের কাছ থেকে ব্রেয়ার্স পাওয়ার অধিগ্রহণ, যার ফলে ইউনিলিভার যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম আইসক্রিম প্রস্তুতকারক হয়ে ওঠে।
বর্তমান অবস্থা:
ইউনিলিভার লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ইউরোনেক্সট অ্যামস্টারডামে তালিকাভুক্ত। এটি FTSE 100 এবং AEX ইনডেক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউনিলিভারের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, চীন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্ব:
ইউনিলিভার সামাজিক ও পরিবেশগত দায়িত্বের প্রতি গুরুত্ব দেয়। পাম তেলের ব্যবহার সম্পর্কে তাদের উদ্যোগ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।