আলোকদিয়া: দুটি আলাদা পরিচয়
'আলোকদিয়া' নামটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়, যা কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। একটি হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন, অন্যটি হলো মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার একটি দুর্গম চর। উভয় আলোকদিয়ারই নিজস্ব ইতিহাস, ভৌগোলিক অবস্থান, এবং জনসংখ্যার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
১. আলোকদিয়া ইউনিয়ন, মধুপুর, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়ন ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত। মধুপুর উপজেলার ১ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই ইউনিয়ন ১৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এর ৬০% এলাকা পাহাড়ী এবং ৪০% নিচু। ইউনিয়নের মোট আয়তন ৭৩৪৬ একর, এবং ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ৪১,৬৭২) জনসংখ্যা প্রায় ৪৫,০০০ (আনুমানিক)। এখানকার সাক্ষরতার হার প্রায় ২৬.৬%। বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন আবু সাইদ তালুকদার (দুলাল)। আলোকদিয়া ইউনিয়নের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। ধান, পাট, কাঁঠাল, আনারস, কলা, আম, হলুদ, আদা ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করা হয়।
২. আলোকদিয়া চর, শিবালয়, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার অবস্থিত আলোকদিয়া একটি দুর্গম চর, যা প্রকৃতির সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। এখানে বিদ্যুৎ সংযোগের অভাব রয়েছে, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সীমিত। এই আলোকদিয়ার জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সহজলভ্য নয়। তবে বলা যায় এটি একটি দুর্গম এবং অপেক্ষাকৃত উন্নয়নশীল এলাকা। এই এলাকার বাসিন্দারা নদী ভাঙন ও অবৈধ বালু উত্তোলনের সমস্যার সম্মুখীন।
উভয় আলোকদিয়ার পার্থক্য:
উভয় আলোকদিয়া নামের এলাকা ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, উন্নয়ন, এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমের দিক থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একটি একটি উন্নত ইউনিয়ন, অন্যটি একটি দুর্গম চর। এই তথ্যগুলো উল্লেখ করা জরুরী যাতে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়।