আলিমুল হক

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৪৮ এএম

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলিমুল ইসলামের স্মরণীয় বীরত্ব

আলিমুল ইসলাম (জন্ম: অজানা - মৃত্যু: ২০১০) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেছিল। তার পৈতৃক বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝারা উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের রত্নপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুল করিম হাওলাদার এবং মাতার নাম আমেনা বেগম। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৭১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময়, আলিমুল ইসলাম ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি সাবসেক্টর এলাকায় যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে, বৃহত্তর বরিশাল জেলার ঝালকাঠি, নলছিটি ও রাজাপুর এলাকায় যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধারা যৌথভাবে ভান্ডারিয়া থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। আলিমুল ইসলামসহ কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা দল ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের তীরে সেহাঙ্গল গ্রামে মিলিত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। ভান্ডারিয়া থানা আক্রমণের প্রস্তুতি চলাকালীন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি গানবোট সেহাঙ্গলের দিকে এগিয়ে আসে। এই অবস্থায় আলিমুল ইসলামসহ মুক্তিযোদ্ধারা ভান্ডারিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে সেহাঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নেন। পাকিস্তানি গানবোটের সাথে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে আলিমুল ইসলাম আহত হন কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করেননি। তার বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধের কথা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।

আলিমুল ইসলামের স্ত্রীর নাম রাজিয়া বেগম এবং তাদের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল। তার জীবনের আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • আলিমুল ইসলাম ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
  • তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়েছিল।
  • তার পৈতৃক বাড়ি বরিশালে।
  • মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।
  • ভান্ডারিয়া থানা আক্রমণের সময় পাকিস্তানি গানবোটের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।