আরাকান আর্মি (এএ): একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
আরাকান আর্মি (এএ), বর্মীতে အာရက္ခတပ်တော်, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য (পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত) ভিত্তিক একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ১০ এপ্রিল ২০০৯ সালে ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ)-এর সামরিক শাখা হিসেবে এর প্রতিষ্ঠা হয়। রাখাইন (আরাকানি) বৌদ্ধদের এই সংগঠনটি আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দাবি করে এবং নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সামনে তুলে ধরতে চায়। বর্তমানে এএ-এর কমান্ডার-ইন-চিফ হলেন মেজর জেনারেল তোয়ান মারত নাইং এবং ভাইস ডেপুটি কমান্ডার হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিয়ো টোয়ান আং।
প্রাথমিক পর্যায় ও কাচিন সংঘাত:
প্রতিষ্ঠার পর, এএ প্রশিক্ষণের জন্য কাচিন রাজ্যে যায় এবং কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)-এর সাথে মিয়ানমারের তাতমাডো (সামরিক বাহিনী)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করে। বেশিরভাগ এএ সৈন্যই কেআইএ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষিত। ২০১৪ সাল থেকে এএ রাখাইন রাজ্যে নিজস্ব প্রশিক্ষণ শিবির স্থাপন করে। সৈন্য সংখ্যার বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন বিভিন্ন সংখ্যা দেখায়: ২০১৪ সালে ১,৫০০, ২০২০ সালে ৩০,০০০-এর বেশি।
বৃদ্ধি ও সংঘর্ষ:
২০১৫ সালে এএ মিয়ানমার ন্যাশনালিটিজ ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ)-এর সাথেও লড়াই করে। এছাড়াও ২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিজিবির সাথে সংঘর্ষ হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল ও ডিসেম্বরে রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকতাউ, চিন রাজ্যের পালেতওয়া, ম্রাউক ইউ এবং সিত্বেতে তীব্র সংঘর্ষ হয়। ২০১৬ সালে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। ২০২১ সালে আরাকান মিডিয়ার সাথে সাক্ষাত্কারে এএ-এর কমান্ডার-ইন-চিফ স্পষ্ট করে জানান সশস্ত্র সংগ্রামের লক্ষ্য আরাকানের স্বাধীনতা। ২০২৩ সালে তারা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বড় একটি সামরিক ঘাঁটি দখল করে।
উদ্দেশ্য ও জনসমর্থন:
আরাকান আর্মি বহু-জাতিগত আরাকানি জনসংখ্যার জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ, তাদের জাতীয় পরিচয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং আরাকান জনগণের