আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

ইসলামের ইতিহাসে একজন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর জীবনী ও কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাঁর জন্ম, ইসলাম গ্রহণ, মক্কার অত্যাচার, হিজরত, যুদ্ধে অংশগ্রহণ, কুরআন তিলাওয়াত, ফিকহ, হাদিস, এবং কুফায় কাজির দায়িত্ব পালন সহ তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার জীবনী সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) ছিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর একজন অন্যতম সাহাবী। তিনি বনু তামিম গোত্রের। তাঁর জন্ম মক্কায়, প্রায় ৫৯৪ সালের দিকে। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম দিকের গ্রহণকারীদের মধ্যে একজন এবং কুরআনের অসাধারণ তিলাওয়াতকারী ছিলেন। মক্কায় মুশরিকদের অত্যাচারের শিকার হয়ে তিনি প্রথমে আবিসিনিয়া, পরে মদিনায় হিজরত করেন। বদর, উহুদ, হুনাইন সহ অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন।

ইসলাম গ্রহণের পর তিনি মহানবী (সাঃ)-এর পরিবারের অংশ হিসেবে পরিগণিত হন এবং রাসূল (সাঃ)-এর খাদিমের দায়িত্ব পালন করেন। কুরআন তিলাওয়াতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তার তিলাওয়াতের প্রশংসা করে রাসুল (সাঃ) বলেছিলেন, "কেউ যদি কোরআন তেলাওয়াতে আনন্দ খুঁজে, তবে সে যেন ইবনে মাসউদের মতো করে তিলাওয়াত করে।" তাঁর কুরআন পাঠ কুফার ক্যানোনিকাল পাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

হাদিস শাস্ত্রেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি মহানবী (সাঃ)-এর কাছ থেকে ৮৪৮টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। হযরত ওমর (রাঃ) তাঁকে কুফার কাজি হিসেবে নিয়োগ করেন এবং তিনি দীর্ঘ ১০ বছর এ দায়িত্ব পালন করেন। ফিকহ এবং তাফসিরেও তিনি দক্ষ ছিলেন। তিনি ৩২ হিজরীতে ৬০ বছরের বেশি বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাকে দাফন করা হয়। তার জীবন ইসলামের ইতিহাসে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অন্যতম সাহাবী
  • কুরআন তিলাওয়াতে অসাধারণ দক্ষতা
  • কুফার কাজি হিসেবে দায়িত্ব পালন
  • ৮৪৮টি হাদিস বর্ণনা
  • ফিকহ ও তাফসিরে দক্ষতা
  • মক্কা, মদীনা, কুফা

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ

৬ জানুয়ারী ২০২৫

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কথা উল্লেখ করেছেন।