ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে করার বিষয়ে বাংলাদেশে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি আনুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে। বিএনপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধী, তবে সরকার তাদের ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছে। আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে অনেকগুলো যুক্তি উঠে এসেছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ড. ইউনূসের সরকারের দৃশ্যমান পরিবর্তন এবং অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। বামপন্থী দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে আনুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সিপিবি, বাসদ, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, গণধিকার পরিষদসহ নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনও এই পদ্ধতির পক্ষে মতামত দিয়েছে। বিএনপি এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে এবং প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে মত দিচ্ছে। বিজেপি মনে করে দেশ আনুপাতিক নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নয়। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র মনে করেন, বাংলাদেশে এই পদ্ধতি প্রয়োগের কোনও প্রয়োজন নেই। গণতন্ত্র মঞ্চ নির্বাচনের স্থায়ী পদ্ধতি প্রবর্তনের ওপর জোর দিচ্ছে। বিএনপির নেতারা আনুপাতিক নির্বাচনে গেলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। আনুপাতিক নির্বাচন কিভাবে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে এবং সমাজের সকল স্তরের প্রতিনিধিত্ব বাড়াবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এই বিষয়টি সংবিধান সংস্কার কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে বলে মনে করে। সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটের প্রস্তাব ও উঠে এসেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তবে তা কি রূপে এবং কার মাধ্যমে তা স্পষ্ট নয়।
আনুপাতিক নির্বাচন
মূল তথ্যাবলী:
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে।
- জাতীয় নাগরিক কমিটি আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে, বিএনপি বিরোধী।
- আনুপাতিক নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে।
- বিভিন্ন দল ও নাগরিক সমাজ আনুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মতামত দিয়েছে।
- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বিষয়টি সংবিধান সংস্কার কমিশনের এখতিয়ার বলে মনে করে।