বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (Ansar & VDP) হলো বাংলাদেশের একটি আধা-সামরিক বাহিনী। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী পূর্ব পাকিস্তান আনসার আইন অনুযায়ী এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইতিহাস:
- ১৯৪৮: পূর্ব পাকিস্তান আনসার আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৬৫: পাক-ভারত যুদ্ধে সীমান্ত রক্ষায় অংশগ্রহণ।
- ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান।
- ১৯৭৬: আনসার ব্যাটালিয়ন গঠন।
- ১৯৯৫: আনসার বাহিনী আইন এবং ব্যাটালিয়ন আনসার আইন পাস।
- ১৯৯৮: জাতীয় পতাকা প্রদান।
- ২০০৪: স্বাধীনতা পদক লাভ।
- বর্তমানে: অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, দুর্যোগ মোকাবিলা, জনকল্যাণমূলক কাজ এবং বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ।
সংগঠন:
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিনটি প্রধান শাখা রয়েছে: সাধারণ আনসার, ব্যাটালিয়ন আনসার এবং গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (ভিডিপি)। এছাড়াও আছে আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি)। এটি একটি বিশেষ ফোর্স, যা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা এবং সরকারের বিশেষ কাজে নিয়োজিত থাকে। সদস্য সংখ্যা ৬ মিলিয়নেরও বেশি।
কর্মকাণ্ড:
আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে, যেমন:
- অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা।
- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা।
- দুর্যোগ মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম।
- আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচী।
- নির্বাচনে জননিরাপত্তা রক্ষা।
- সড়ক, রেলপথ ও বন্দরের নিরাপত্তা।
- শিক্ষা সম্প্রসারণ, বৃক্ষরোপণ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, নাসিমুল গনি, মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ (বর্তমান মহাপরিচালক)।
স্থান:
ঢাকা (সদর দপ্তর), গাজীপুর (প্রশিক্ষণ একাডেমী), ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম।
আরও তথ্য:
আমরা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে এই নিবন্ধটি আপডেট করব।