ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত আদাবর থানা ঢাকা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক ইউনিট। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই থানাটি ঢাকা শহরের পশ্চিমাংশে অবস্থিত। উত্তরে দারুস সালাম থানা, উত্তর-পূর্বে শেরেবাংলা নগর থানা, পূর্বে ও দক্ষিণে মোহাম্মদপুর থানা এবং পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদী ও সাভার উপজেলা অবস্থিত। মোহাম্মদপুর থানা ভেঙে ২৭ জুন ২০০৭ সালে আদাবর থানার সৃষ্টি হয়। থানাটির আয়তন ৭৯৮ একর বা ৩.২৩ বর্গকিলোমিটার।
২৩°৪৫' থেকে ২৩°৪৬' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০' থেকে ৯০°২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত আদাবর থানা ঢাকা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে অবস্থিত। মোহাম্মদপুর এবং দারুস সালাম থানার সাথে এর সীমানা সর্বাধিকভাবে মিলেছে। শ্যামলীর কাছাকাছি অংশটি উত্তর-পূর্বে শেরেবাংলা নগর থানার সাথে সংযুক্ত। থানার পশ্চিম পাশে সাভার উপজেলা এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
আদাবর থানার অন্তর্গত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি, পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটি, নবোদয় হাউজিং সোসাইটি, আব্দুল রফিক হাউজিং, জাপান গার্ডেন সিটি, শেখেরটেক, মোন্সুরাবাদ হাউজিং, উত্তর আদাবর, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি, কৃষি মার্কেট, শিয়া মসজিদ, ঢাকা হাউজিং, প্রমিন্যান্ট হাউজিং, শ্যামলী হাউজিং, তুরাগ হাউজিং, আক্কাছ হাউজিং, বেরিবাধ ইবনে সিনা হাউজিং, একতা হাউজিং, সুনিবিড় হাউজিং, আলিফ হাউজিং, মফিজ হাউজিং, মেহেদীবান হাউজিং, ইউনিক হাউজিং, আদর্শ ছায়ানীড়, মোহাম্মদপুর, মোহাম্মদপুর হাউজিং, আদাবর, ইত্যাদি।
২০১১ সালের বাংলাদেশের আদমশুমারি অনুযায়ী, আদাবর থানায় ৪৭,৬৪২টি পরিবার ছিল, গড় পরিবারের আকার ৪.০৮ এবং জনসংখ্যা ছিল ২০৩,৯৮৯। পুরুষদের সংখ্যা ছিল ৫৩.৬১% (১০৯,৩৫৪) এবং নারীদের সংখ্যা ছিল ৪৬.৩৯% (৯৪,৬৩৫)। আদাবরের সাক্ষরতার হার (৭ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের জন্য) ৬৮.৪% ছিল, যা জাতীয় গড় ৫১.৮% এর তুলনায় উচ্চতর। লিঙ্গ অনুপাত ছিল ১১৬। এখানে ৭৩ জন ভাসমান জনসংখ্যা ছিল। ধর্মীয় ভাগে মুসলিম ৯৮.১০% (২০০,১০৭), হিন্দু ১.৬১% (৩,২৮১), খ্রিস্টান ০.২০% (৪০৪), বৌদ্ধ ০.০৮% (১৫৬) এবং অন্যান্য ০.০১% (৪১)। জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল মোট ২৫১ জন।