অ্যাপোলো ইস্পাত

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড: ঋণের জালে আটকে থাকা এক প্রতিষ্ঠানের গল্প

অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড, একসময়ের লাভজনক প্রকৌশল খাতের কোম্পানি, বর্তমানে ঋণের বোঝা ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। ২০১৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম তিন বছর উচ্চ মুনাফা অর্জন করলেও, ২০১৭ সাল থেকে কোম্পানিটির ব্যবসায় ধীরে ধীরে অবনতি শুরু হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটি ৯২ কোটি টাকার নিট লোকসান দেখায় এবং এরপর থেকে কোনো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ২০১৩ সালে ২১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল অ্যাপোলো ইস্পাত। কিন্তু ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল পলাতক রয়েছেন বলে অভিযোগ। কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েবের দাবি, এমডি পর্ষদকে না জানিয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন।

আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল না করার জন্য বিএসইসি (বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) কোম্পানির চার কর্মকর্তাকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে। কোম্পানির অবস্থা উন্নত করার জন্য ৬ মাস সময় চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।

একসময়ের সফল কোম্পানিটির বর্তমান দুর্দশা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে। অনেকের ধারণা, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি ও অসৎ ব্যবস্থাপনা এই সংকটের মূল কারণ। উৎপাদন বন্ধ থাকায় এবং ঋণের ভারে কোম্পানিটি পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

disambiguesTitle

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত
  • প্রাথমিকভাবে লাভজনক ছিল, পরবর্তীতে ঋণে জর্জরিত
  • ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলাতক
  • আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল না করার জন্য জরিমানা
  • পুনর্গঠনের জন্য ৬ মাসের সময় চাওয়া হয়েছে

গণমাধ্যমে - অ্যাপোলো ইস্পাত

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

এই কোম্পানির শেয়ার বাজারে লেনদেন হচ্ছে, যদিও কোম্পানিটি বন্ধ রয়েছে।