অধীর চৌধুরী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

অধীর রঞ্জন চৌধুরী: পশ্চিমবঙ্গের একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব

অধীর রঞ্জন চৌধুরী (জন্ম: ২ এপ্রিল ১৯৫৬) একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৭তম লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন এবং ২০০০ সালে তিনি রেলওয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণকারী অধীর রঞ্জন চৌধুরী বহরমপুরের আই.সি. ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করেছেন। রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে তিনি নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরাজিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৯ সালে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় নির্বাচিত হন।

তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি কংগ্রেসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেমন মুর্শিদাবাদ জেলার কংগ্রেস সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি এবং লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। তিনি ২০০০ এবং ২০০৪ সালের মধ্যে বিদেশ মন্ত্রকের পরামর্শক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

২৮ অক্টোবর ২০১২ সালে তিনি রেলওয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জুন ২০১৯ সালে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি পরাজিত হন।

তার ব্যক্তিগত জীবনে ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ সালে তিনি অর্পিতা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র কন্যা শ্রেয়শ্রী ২০০৬ সালে মারা যান। ৯ জানুয়ারী ২০১৯ সালে তার স্ত্রী অর্পিতা মারা যান। পরবর্তীতে তিনি আতসী চট্টোপাধ্যায় চৌধুরীকে বিয়ে করেন।

অধীর রঞ্জন চৌধুরীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই প্রবন্ধটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • অধীর রঞ্জন চৌধুরী একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ।
  • তিনি ১৭তম লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা ছিলেন।
  • তিনি রেলওয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
  • পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ছিলেন।
  • তিনি বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে একাধিকবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।