হায়দার আলী

হায়দার আলী: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা

হায়দার আলী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অসাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার জন্মস্থান ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রাম। তার পিতার নাম জবেদ আলী ফকির এবং মাতার নাম হাজেরা খাতুন। ১৯৭১ সালে তিনি ইপিআরে কর্মরত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা বিওপিতে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুদ্ধে যোগ দেন এবং ভারতে গিয়ে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি ৩ নম্বর সেক্টর ও এস ব্রিগেডের অধীনে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি বিডিআরে চাকরি করেন।

সিলেটের তেলিয়াপাড়ায় একটি চা-বাগানে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে এক তীব্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন হায়দার আলী। এই যুদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা অসামান্য। পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানে গ্রেনেড ছুঁড়ে তিনি তাদের মেশিনগান পোস্ট ধ্বংস করে দেন। এই যুদ্ধে প্রায় ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মোবারক আলী নামে একজন সহযোদ্ধার চোখের সামনে শহীদ হওয়ার ঘটনা তাকে গভীরভাবে আঘাত করেছিল। তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করেছে। তার স্ত্রীর নাম উম্মে কুলসুম এবং তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। হায়দার আলীর জীবনী স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করেছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • হায়দার আলী ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • তিনি সিলেটের তেলিয়াপাড়ায় পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যুদ্ধ করেছিলেন
  • তার বীরত্বের জন্য তাকে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয়েছে
  • তিনি ইপিআর ও বিডিআরে কর্মরত ছিলেন
  • তার জন্মস্থান ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা

গণমাধ্যমে - হায়দার আলী

২২ ডিসেম্বর ২০২৪

তিনি হিলি বাজারে আলু কিনতে এসে আলুর দাম কমার বিষয়ে মন্তব্য করেন।

১ জানুয়ারী ২০২১, ৬:০০ এএম

নড়িয়া থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হায়দার আলী এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।