হযরত আসরাফ শাহ মাজার: সিলেটের একটি আধ্যাত্মিক স্থাপনা
উপরোক্ত লেখা থেকে 'হযরত আসরাফ শাহ মাজার' নামটি স্পষ্টভাবে উল্লেখিত নয়। লেখাটিতে 'হযরত শাহ পরাণ (রঃ) এর মাজার' বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। অতএব, আমি ধরে নিচ্ছি যে 'হযরত আসরাফ শাহ মাজার' এর অর্থ 'হযরত শাহ পরাণ (রঃ) এর মাজার'।
হযরত শাহ পরাণ (রঃ) এর মাজার: সিলেট শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক স্থাপনা। শাহ জালাল (রঃ) এর অন্যতম সঙ্গী ও অনুসারী, শাহ পরাণ (রঃ) এর সমাধিস্থল হিসেবে এটি পরিচিত। ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে শাহ জালাল (রঃ) এর সাথে শাহ পরাণ (রঃ) এর সিলেট আগমনের ইতিহাস রয়েছে।
অবস্থান: সিলেট শহরের পূর্ব দিকে, খাদিম নগর (পূর্ব নাম খাদিম পাড়া) এলাকায় একটি টিলার উপর অবস্থিত। শাহ জালাল (রঃ) এর দরগাহ থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে।
মাজার প্রাঙ্গণ: মাজার টিলায় উঠানামার জন্য মোগল আমলে নির্মিত সিঁড়ি রয়েছে। মাজারের পশ্চিমে মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে যেখানে প্রায় ৫০০ মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। নারী পর্যটকদের জন্য পৃথক দালান ঘর এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার ও অজু গোসলের জন্য পুকুর রয়েছে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: শাহ পরাণ (রঃ) সিলেটের নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ সহ বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচার করেছেন। তার অলৌকিক ক্ষমতার কাহিনী লোকমুখে প্রচলিত। তিনি সিলেট শহর হতে ছয় মাইল দূরবর্তী খাদিম নগর এলাকায় এসে বসতি স্থাপন করেন এবং এখানেই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত ইসলাম প্রচার করে চির নিদ্রায় শায়িত হন।
শাহ পরাণের পরিবার: শাহ পরাণের পূর্বপুরুষগণ বোখারা শহরের অধিবাসী ছিলেন। তার ৪র্থ পুরুষ শাহ জামাল উদ্দীন বোখারা হতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথমে সমরখন্দ ও পরে তুর্কিস্থানে বসবাস করেন। শাহ পরাণের পিতা মোহাম্মদ একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন এবং তার মাতা শাহ জালালের আত্মীয় সম্পর্কে বোন ছিলেন; সে হিসেবে শাহ পরাণ শাহ জালালের ভাগ্নে ছিলেন।
যোগাযোগ: সিলেট শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে রিকশা, অটোরিক্সা অথবা সিএনজি ভাড়া করে সহজেই হযরত শাহ পরাণ (রঃ) এর মাজার দর্শনে যেতে পারেন।
মনে রাখবেন: লেখাটিতে 'হযরত আসরাফ শাহ মাজার' এর স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এটি হয়তো অন্য কোন মাজারের নাম অথবা একটি ভুল উল্লেখ। যদি আপনার অন্য কোন তথ্য থাকে তাহলে আমি আপনাকে অধিক সঠিক তথ্য দিতে পারবো।