সোহাগ রাঢ়ি

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২:১৬ এএম

মাহমুদুল হাসান সোহাগ, যিনি ‘সোহাগ ভাই’ নামেও পরিচিত, একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী উদ্যোক্তা। তিনি রকমারি.কম ওয়েবসাইটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তার উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে উদ্ভাস কোচিং সেন্টার এবং অন্যরকম ওয়েব সার্ভিস লিমিটেড। বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) তৈরি করেন এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলরও ছিলেন। বর্তমানে তিনি অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

সোহাগ ভাই ১৯৮১ সালের ৭ই জুন জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবুল হোসেন একজন স্কুল শিক্ষক এবং মাতা মনোয়ারা বেগম। তিনি পিতামাতার তিন সন্তানের মধ্যে সবার ছোট। তিনি নাসিরউদ্দিন কিন্ডারগার্টেনে প্রাথমিক শিক্ষা, রিয়াজউদ্দিন তালুকদার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি যথাক্রমে ৫ম এবং ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। বুয়েটের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে তিনি কিছুদিন গবেষণা সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

বুয়েট থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি আর কোন চাকরিতে যোগ দেননি। ২০১২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত এন্টারপ্রেনার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি রকমারি.কম এর পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন। রকমারি.কম ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি চালু হয় এবং ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের অর্থায়নে ২০০৭ সালে এর কাজ শুরু হয়। বুয়েটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তিনি ইভিএম তৈরি করেন। অন্যরকম গ্রুপের অধীনে রয়েছে রকমারি.কম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যরকম বায়োইনফরমেটিকস ল্যাবরেটরি।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাহমুদুল হাসান সোহাগ, রকমারি.কম এর প্রতিষ্ঠাতা
  • বাংলাদেশের প্রথম ইভিএম তৈরি
  • অন্যরকম গ্রুপের চেয়ারম্যান
  • বুয়েট থেকে স্নাতক
  • জন্ম: ১৯৮১ সালের ৭ই জুন

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সোহাগ রাঢ়ি

সোহাগ রাঢ়ি নামে এক ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী হালিমা তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে।