সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-১
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার ১
সিলেট নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার: একটি বিস্তারিত আলোচনা

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার, যা সিলেট নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারাগার। সিলেট শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে বাদাঘাটে অবস্থিত এই কারাগারটির ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। ১৭৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরাতন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাবন্দি সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নতুন কারাগারের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ৩ মার্চ ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার পুরাতন কারাগারটিকে কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে উন্নীত করে। তবে কারাবন্দিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নতুন কারাগার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো করে তোলে।

২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে নতুন কারাগারের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালে সম্পন্ন হয়। ১ নভেম্বর ২০১৮ সালে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন করেন। ৩১.৩৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই আধুনিক কারাগারটি ২০০০ জন কারাবন্দিকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। উদ্বোধনের পর পুরাতন কারাগারের কারাবন্দিদের এখানে স্থানান্তর করা হয়।

সিলেট নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫৯টি ভবন রয়েছে, পুরুষ ও নারী কারাবন্দিদের জন্য পৃথক ভবনসহ। যক্ষ্মা ও মানসিক রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতালসহ মোট চারটি হাসপাতাল, একটি দুই তলা রেস্টহাউজ, একটি চার তলা ডে কেয়ার সেন্টার, লাইব্রেরি, স্কুল এবং মসজিদ কারাগারের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা। ২০২১ সালের ১৭ জুন এখানে প্রথম ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার শুধুমাত্র একটি কারাগার নয়, এটি সিলেট অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর আধুনিক সুবিধা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কারাবন্দিদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই কারাগারটি আরও উন্নত ও সুসজ্জিত হয়ে ক্রমশ কারাবন্দিদের জন্য একটি উন্নত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা প্রদান করবে বলে আশা করা যায়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭৮৯ সালে সিলেটে প্রথম কেন্দ্রীয় কারাগার প্রতিষ্ঠা
  • ১৯৯৭ সালে পুরাতন কারাগার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে উন্নীত
  • ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন কারাগারের উদ্বোধন করেন
  • ৩১.৩৬ একর জমির উপর ২০০০ জন ধারণ ক্ষমতা
  • ২০২১ সালে প্রথম ফাঁসি কার্যকর

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।