সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলা: ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি
দেবহাটা উপজেলা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই উপজেলাটি ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। উত্তরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে আশাশুনি উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সীমান্ত। প্রায় ১৭৬.৩৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় প্রায় ১,৩১,৬১৮ জন মানুষ বসবাস করে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: দেবহাটা উপজেলা ১৯১৯ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই উপজেলা হিসেবে মর্যাদা পায়। প্রায় ১৫০ বছর আগে, দেবহাটার টাউন শ্রীপুর গ্রামে দেবহাটা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে টাউন শ্রীপুর এ অঞ্চলের একটি বৌদ্ধিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এই গ্রামে ১৮ জন জমিদারের বাস ছিল। পাকিস্তান সরকার ১৯৫০-১৯৫১ সালে টাউন শ্রীপুর পৌরসভা বিলুপ্ত করে।
অর্থনীতি: দেবহাটার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও মৎস্য চাষের উপর নির্ভরশীল। ‘সাদা সোনা’ নামে পরিচিত বাগদা চিংড়ি ও নোনা পানির মাছ এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক সম্পদ। চিংড়ি চাষের জন্য দেবহাটা বিখ্যাত। এছাড়াও ধান, সরিষা, আলু, শাকসবজি উৎপাদন হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: ইছামতি নদী, সাপমারা খাল ও লাবণ্যবতী খাল দেবহাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করেছে। এখানে কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেবহাটা উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শরণার্থীদের ওপর গুলি চালিয়ে দেবহাটার পারুলিয়া সাপমারা খালে তিন শতাধিক শরণার্থীকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য স্থান: দেবহাটা থানা ভবন (১৮৯৪), শ্রী শ্রী গোকুলানন্দ জিউ মন্দির, টাউন শ্রীপুর, পারুলিয়া, কুলিয়া, সখিপুর, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন।
আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করুন: দেবহাটা উপজেলার আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা আপনাকে নতুন তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই আপডেট করব।