সমাজ সেবক

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ এএম

সমাজ সেবক: বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অগ্রদূত

বাংলাদেশে ‘সমাজ সেবক’ শব্দটি একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অথবা সংগঠনকে নির্দেশ করতে পারে। এই লেখায়, আমরা প্রধানত বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যরত বিভিন্ন কর্মসূচী ও তাদের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোকে সমাজ সেবক হিসেবে বিবেচনা করব।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদপ্তর: ১৯৫৫ সালে দেশে সমাজকল্যাণ কার্যক্রম শুরু হলেও ১৯৬১ সালে সমাজসেবা পরিদফতরের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সমাজসেবা অধিদপ্তর সরকারের একটি স্থায়ী জাতিগঠনমূলক বিভাগ। এ অধিদপ্তর দেশের দুস্থ, অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, দরিদ্র, এতিম, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী এবং সমাজের অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ও বহুমুখী কর্মসূচি নিয়ে কাজ করে।

মূল কার্যক্রম: সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৭১ হাজার ০৫ শত ৬৭ জন মানুষ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি সহায়তা লাভ করেছেন। এছাড়াও ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা এবং চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচীও পরিচালিত হচ্ছে।

প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম: সমাজসেবা অধিদপ্তর শিশুদের বিকাশ, সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ২১২টি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু পরিবার, দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, এতিম ও প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতিষ্ঠান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র এবং মহিলা ও শিশু-কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র।

ডিজিটাল সেবা: সমাজসেবা অধিদপ্তর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা প্রদানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ডিজিটাল সেবাগ্রহণে সহায়তা করার জন্য মাল্টিমিডিয়া টকিং বইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন: সমাজসেবা অধিদপ্তর ৬৪টি জেলায় ৭০০৯৯টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিবন্ধন প্রদান করেছে। এই সংস্থাগুলো সমাজসেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ: শারমীন এস মুরশিদ (মাননীয় উপদেষ্টা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), ড. মো. মহিউদ্দিন (সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়), মোঃ সাইদুর রহমান খান (অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা)। লেখায় আরও কিছু কর্মকর্তার নাম উল্লেখ আছে।

আমরা আশা করি এই তথ্য সমাজ সেবকদের সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিয়েছে। আরও তথ্যের জন্য আমরা এই লেখাটি পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়।
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষ ভাতা ও উপবৃত্তি লাভ করেছে।
  • শিশু, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ও অন্যান্য দুস্থ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে।
  • ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
  • সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ৭০,০০০ এর বেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে কাজ করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সমাজ সেবক

28/12/2024

মুসলেহউদ্দিন মুহম্মদ বদরুল ছিলেন সমাজসেবক।