সনাতন চিকিৎসা: প্রাচীন ঐতিহ্যের আধুনিক রূপ
সনাতন চিকিৎসা বা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি বহু যুগ ধরে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উদ্ভিদ, প্রাণী, খনিজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান, ধর্মীয় শ্রদ্ধা, সাংস্কৃতিক অনুশীলন, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ভৌতিক কৌশলও এর অন্তর্ভুক্ত। এই পদ্ধতির মূলনীতি হলো ব্যক্তির সমগ্র শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করা।
প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশসহ এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অনেক দেশে সনাতন চিকিৎসা প্রচলিত ছিল। আয়ুর্বেদিক, ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি এর উল্লেখযোগ্য দুটি দিক। এই পদ্ধতিগুলোতে উদ্ভিদজাত ও প্রাণিজাত ঔষধ, খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। তবে, বৈজ্ঞানিক ঔষধ হিসাবে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়া সত্ত্বেও, অনেক সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতি বিতর্কিত ও অপ্রমাণিত।
বাংলাদেশে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বীকৃতি পেয়েছে। কয়েকটি বড় ভেষজ ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান (যেমন সাধনা, শক্তি, কুন্ডেশ্বরী, হামদর্দ) সনাতন ঔষধের উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক বোর্ড এসব ঔষধের মান নিয়ন্ত্রণ করে।
আধুনিক বিশ্বে, অনেক মানুষ এখনও স্বাস্থ্যের জন্য সনাতন চিকিৎসার সাহায্য নেন। তবে, প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি সনাতন চিকিৎসার ব্যবহার ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য। এটি বিভিন্ন রোগের জন্য বিকল্প বা সম্পূরক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে। তবে, যেকোনও সনাতন চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে একজন যোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।