সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী: একজন বিতর্কিত সাংবাদিক ও লেখক
সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী (জন্ম: ১২ জানুয়ারী ১৯৬৫) বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, যিনি সাংবাদিকতা, লেখালেখি এবং ইসলাম-ইসরাঈল সম্পর্ক নিয়ে কাজ করার জন্য পরিচিত। তিনি ইংরেজি ভাষার ট্যাবলয়েড পত্রিকা "ব্লিটজ" এর সম্পাদক এবং বাংলা সাপ্তাহিক "জামজামাত" এর সম্পাদক-প্রধান ছিলেন। তার লেখা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এবং তিনি একাধিকবার রাষ্ট্রদ্রোহ, আত্মসাত, ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো অভিযোগে গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডের শাস্তিও পেয়েছেন।
তার লেখালেখিতে ইসলামপন্থী জঙ্গিবাদ, জিহাদ, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং ইসরাঈল-মুসলিম বিশ্বের সম্পর্কের বিষয়গুলি অন্যতম। তিনি ইসরাঈলের সাথে সহযোগিতা প্রচারকারী আন্তর্জাতিক ফোরাম "লিটারেচার এন্ড কালচার অব পিস" এর আমন্ত্রণে তেল আবিবে সেমিনারে অংশগ্রহণের চেষ্টা করার সময় ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন। ২০০৩ সালে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহী ও নিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে বিমানবন্দর থানার ওসি তাকে মোসাদ এজেন্ট হিসাবে দাবি করেন। একই বছরে তার বই "অবিচার এবং জিহাদ" প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তীতে ইতালীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
তিনি ২০০৬ সালে একদল জনতার হামলার শিকার হন এবং ২০০৮ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কর্মীদের দ্বারা অপহরণের শিকার হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের দাবি করা সশস্ত্র একটি দল তার কার্যালয়ে হামলা করে তাকে ও তার সহকর্মীদের লাঞ্ছিত করে। ২০০৭ সালে, ইহুদি, হিন্দু ও খ্রিস্টানদের প্রশংসা করার কারণে “বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট” ও “মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত” করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চালানো হয়। ২০১১ সালে তাকে ইসলাম-ইসরাঈল ফেলোশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০০৯ সালে "ইনসাইড মাদ্রাসা" শীর্ষক বই প্রকাশ করে।
শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও তিনি সঙ্গীত রচনা করেন এবং তার রচিত গান বিভিন্ন শিল্পী গেয়েছেন। তার জীবনে অনেক ঘটনা অসম্পূর্ণ, তাই এই বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশ হলে আমরা পরবর্তীতে আর্টিকেলটি আপডেট করবো।