শুখন মিয়া: একাধিক ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তি
কিশোরগঞ্জের শুখন মিয়া নামে এক ব্যক্তির সাথে সম্প্রতি দুটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। প্রথম ঘটনায়, তিনি নিজে রুহুল আমিন শাকিল নামে এক যুবলীগ নেতার হাতে নির্যাতনের শিকার হন। দ্বিতীয় ঘটনায়, তার পুত্র সাগর মিয়া পিটিয়ে হত্যার শিকার হয় এবং শুখন মিয়াই এই হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করেন। এই দুটি ঘটনার বিস্তারিত নীচে তুলে ধরা হল:
ঘটনা ১: যুবলীগ নেতার হাতে নির্যাতন
২০২৪ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বোয়ালিয়া গ্রামে শুখন মিয়া (৪৫) নামে এক যুবককে রুহুল আমিন শাকিল নামে এক যুবলীগ নেতা গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠে। অভিযোগ অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে রুহুল আমিন শাকিল দলবল নিয়ে শুখন মিয়ার ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং পরে তাকে নির্যাতন করে। শুখন মিয়া রুহুল আমিন শাকিলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কটিয়াদী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রুহুল আমিন শাকিল উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। কটিয়াদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ঘটনার তদন্তের কথা জানান।
ঘটনা ২: পুত্রের হত্যা এবং মামলা
২০২৪ সালের ২২শে আগস্ট কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘির দৌলতপুর হাওরের মাঘাপোড়া বিল এলাকায় শুখন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া নামে এক মৎস্যজীবীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় শুখন মিয়া ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই ১১ জনের মধ্যে উমেদ আলীর ছেলে আল আমিন, মৃত কালা মামুদের ছেলে দ্বীন ইসলাম এবং মৃত তায়বুদ্দিনের ছেলে ইসলাম উল্লেখযোগ্য। মামলার পর শুখন মিয়া নিজ উদ্যোগে একজন আসামিকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেন। তবে, বাকি আসামিরা এখনও গ্রেফতারের বাইরে এবং মামলা তুলে নিতে শুখন মিয়াকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মিঠামইন থানার ওসি মো. শফিউল আলম বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
উল্লেখ্য যে, শুখন মিয়ার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে, এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।