শারলিন ফারজানা: একজন মডেল ও অভিনেত্রীর যাত্রা
শারলিন ফারজানা বাংলাদেশের একজন প্রতিভাবান মডেল ও অভিনেত্রী। ৩ জানুয়ারি ১৯৯০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী শারলিনের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। শিক্ষা জীবনে তিনি জাতীয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ঢাকা জুড়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে প্রতিভার সাক্ষ্য দেন। শুধুমাত্র শিক্ষায় সীমাবদ্ধ থাকেননি শারলিন, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী থেকে শাস্ত্রীয় নৃত্যের তালিম নিয়ে কাথক শিল্পে একটি শংসাপত্রও অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশু শিল্পী হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।
শারলিনের পরিবার চেয়েছিলেন তিনি ডাক্তার হবেন, সেজন্য ঢাকার শিকদার মেডিকেল কলেজে ভর্তিও হন। কিন্তু আইনের প্রতি গভীর আগ্রহ তাকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত প্রোগ্রামের মাধ্যমে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে প্রেরণা দিয়েছিল।
২০০৮ সালে 'প্যান্টেনে ইউ গেট দ্য লুক' সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে 'সেরা চেহারা' পুরস্কার জেতেন শারলিন। এরপর তিনি অভিনয় জগতে পদার্পণ করেন। ২০১০ সালে 'জাগো' চলচ্চিত্রে রুখসানা নামে একজন তরুণ সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবনের সূচনা। গ্রামীণফোন এবং সিলন টি জাতীয় বিজ্ঞাপনে ও তিনি কাজ করেছেন।
এরপর শারলিন অনেক টিভি নাটকে অভিনয় করেন। 'ওয়াদা', 'টু লাভ ইউ মোর', 'দ্য মিসার', 'বিন্দুতে ফেরা', 'হঠাৎ তোমার জন্য', 'কাম ফ্রম ভুয়া পুর', 'লাইফ এন্ড ফিওনা', 'পোড়াপাতা', 'ভালোবাসার ফানুশ', 'জে তুমি হরণ করো', 'তোমার আমার বিয়ে', 'টুকরো প্রেমের বাঁধন', 'মেঘ বৃষ্টির আলাপন', 'মেঘনিল', 'বিন্দুতে ফেরা', 'টু লেট ব্যাচেলর' ইত্যাদি নাটক তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে পড়ে। তিনি 'সাথিয়া' নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তারিক আনাম খানের নাটোক নাট্য মঞ্চ গ্রুপ নাটোকেন্দ্র-এ ও তিনি অংশ নিয়েছিলেন।
শারলিন ফারজানা বর্তমানে প্যান্টিন প্রো-ভি-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত 'ঊনপঞ্চাশ বাতাস' তার সর্বশেষ চলচ্চিত্র। ২৩ নভেম্বর ২০১৯ সালে এহসানুল হককে বিয়ে করে তিনি একজন পুত্র ও কন্যা সন্তানের জননী।