রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনা:
গত বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকায় অবস্থিত রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় এক দল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। তিনজন ডাকাত ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে। বাইরে আরও ৭-৮ জন পাহারায় ছিল। আড়াই ঘন্টা ধরে চলা এই জিম্মি অবস্থার অবসান ঘটে বিকেল পাঁচটার পর যৌথ বাহিনীর (পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী) কৌশলী অভিযানের মাধ্যমে।
ঘটনার বর্ণনা:
বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে তিনজন ডাকাত ব্যাংকে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ৮ জন কর্মকর্তাকে জিম্মি করে। খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশ, র্যাব, এবং পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ব্যাংকের আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে। বাইরে পাহারা দেওয়া ডাকাতরা পালিয়ে যায়, কিন্তু ভেতরে থাকা তিন ডাকাতকে হ্যান্ডমাইকের মাধ্যমে আত্মসমর্পণের জন্য বারবার আহ্বান জানানো হয়।
আত্মসমর্পণের কৌশল:
ডাকাতরা প্রথমে আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানালে, পরে ভবনের ভেতরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশ করে। জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ডাকাতরা নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়া এবং ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে। চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংক থেকে টাকা দেওয়া হয়, ডাকাতদের কাছে থাকা তিনটি অস্ত্র বাইরে ফেলা হয় এবং পরে কৌশলে তাদের আত্মসমর্পণ করানো হয়।
আটক ডাকাতরা:
আটক তিন ডাকাতের নাম হলো শারাফাত, শিফাত ও নিরব। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
স্থানীয়দের ভূমিকা:
ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয়রা ব্যাংকের আশেপাশে জড়ো হয় এবং ব্যাংকের গেট তালাবদ্ধ করে দেয়। ব্যাংক ম্যানেজার শেখর চন্দ্র সরকারি কাজে বাইরে ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
- জিম্মিদশার সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
- অর্থ লোপাটের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
- ডাকাতরা এই এলাকায় ছোটখাটো ছিনতাইতে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
সারসংক্ষেপ:
এই ঘটনাটি রূপালী ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলে ধরেছে এবং এ ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আবশ্যকতা তুলে ধরেছে।