রূপা আশা হক: একজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য, লেখক এবং কলামিস্ট
রূপা আশা হক (জন্ম: ২ এপ্রিল, ১৯৭২) একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি রাজনীতিক, লেখক এবং কলামিস্ট। তিনি ব্রিটিশ লেবার পার্টির সদস্য এবং ২০১৫ সাল থেকে ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লন্ডনের ইলিং বরোর ডেপুটি মেয়রও ছিলেন। এর আগে তিনি একজন প্রভাষক ছিলেন।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
রূপা হকের জন্ম বার্মিংহামের কুইনস শার্লটস হাসপাতালে। তার বাবা মুহম্মদ হক এবং মা রোশান আরা হক। ১৯৬০ সালে শিক্ষা ও উন্নত জীবনের সুযোগের সন্ধানে তারা পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ব্রিটেনে অভিবাসন করেন। পাবনা শহরের মকসেদপুর তার বাবার এবং কুঠিপাড়া তার মায়ের স্থানীয় এলাকা।
শিক্ষা ও কর্মজীবন:
রূপা হক ১৯৯৩ সালে ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন এবং ১৯৯৯ সালে ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ব লন্ডন এবং ফ্রান্সের আলসার যুব সমাজের উপর পর্যবেক্ষণ থেকে যুব সংস্কৃতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সমাজবিজ্ঞান, অপরাধ বিজ্ঞান এবং মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন বিষয়ে প্রভাষক ছিলেন।
লেখালিখি ও গণমাধ্যম:
তিনি ট্রিবিউন, গার্ডিয়ান, নিউ স্টেটসম্যান, প্রগ্রেস ম্যাগাজিন এবং দ্য টাইমস হায়ার এডুকেশন সাপ্লিমেন্টে লেখালিখি করেছেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তুতে যুব সংস্কৃতি এবং পপ সংগীতের প্রাধান্য রয়েছে। ২০০৬ সালে তার “বিয়ন্ড সাবকালচার: ইয়ুথ, পপ অ্যান্ড আইডেনটিটি ইন অ্যা পোস্ট কলোনিয়াল ওয়ার্ল্ড” বইটি প্রকাশিত হয়। চ্যানেল 4, বিবিসি নিউজ, বিবিসি রেডিও ফোর এবং বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ক-এ তাকে দেখা গেছে।
রাজনৈতিক কর্মজীবন:
২০০৪ সালে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এবং ২০০৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে ব্রিটিশ সরকারের পররাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ টিমের “আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম” কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। ২০০৮ সালে লন্ডনের ইলিং বরোর ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যান্য তথ্য:
তিনি রাফি নামে এক পুত্রের মা। ইংরেজি ছাড়াও তিনি বাংলা, ফরাসি এবং হিন্দিতে পারদর্শী। তার ছোট বোন কনি হক ব্লু পিটারের উপস্থাপিকা। তিনি ‘ডিআর হক’ নামে একজন মিউজিক ডিজেও ছিলেন।