মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, চরমোনাই পীর নামে অধিক পরিচিত, একজন সম্মানিত ইসলামী পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং ধর্মীয় আলোচক। ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ সালে বরিশালের চরমোনাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় আমীর এবং বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি। এছাড়াও, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দুই মেয়াদে তিনি চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও ছিলেন।

তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া থেকে। ১৯৯১ সালে এর আলিয়া শাখা থেকে কামিল পাশ করেন এবং কওমি শাখায়ও অংশগ্রহণ করেন। বরিশালের সাগরদী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ফিকহ ও হাদিসে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়ায়ও তিনি কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন।

শিক্ষাজীবন শেষে চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়ার আলিয়া শাখার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘদিন আলিয়া ও কওমি উভয় শাখার সহকারী অধ্যক্ষ ছিলেন। বর্তমানে উভয় শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক।

২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দুই মেয়াদে চরমোনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর তার পিতা মারা যাওয়ার পর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আমীর নির্বাচিত হন।

ছাত্রজীবন থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং এর কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামি আন্দোলনে সক্রিয়তার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।

১৯৯৪ সালে পিতা সৈয়দ ফজলুল করীম এবং ২০১৩ সালে মাহমুদুল হাসান এবং ২০১৬ সালে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদীর কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন। ২০০৬ সালে তাঁর পিতার মৃত্যুর পর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আমীরের দায়িত্ব পালন শুরু করেন।

২০১৯ সালে হিজাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও কটাক্ষপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহবান জানান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দ্বিতীয় আমীর
  • বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সভাপতি
  • বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি
  • চরমোনাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান
  • খ্যাতনামা ইসলামী পণ্ডিত ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সচিবালয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।