মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:৪১ এএম
নামান্তরে:
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা: ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও বর্তমান

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। এটি জেলার সদর উপজেলা হিসেবে পরিচিত। উপজেলার উত্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁও উপজেলা, দক্ষিণে পদ্মা নদী ও শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ ও নড়িয়া উপজেলা, পূর্বে মেঘনা নদী, গজারিয়া উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা, এবং পশ্চিমে টংগিবাড়ী উপজেলা ও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলা অবস্থিত।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

মুন্সীগঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনকালে এটি বিক্রমপুর নামে পরিচিত ছিল এবং বহু শতাব্দী ধরে চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত ছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২৯ মার্চ, ১৯৭১ সালে জনগণ অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়ে অস্ত্র-শস্ত্র দখল করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কেওয়ার, গজারিয়া প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধের নিদর্শন এখনো বিদ্যমান।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা:

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আয়তন প্রায় ২১৮.০৭ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, উপজেলার জনসংখ্যা ৩৮৩,২৬৩ জন। এখানকার জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষিকাজ।

অর্থনীতি:

উপজেলার অর্থনীতি প্রধানত কৃষি ও শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, আলু, গম, পাট, মরিচ প্রভৃতি ফসল উৎপাদিত হয়। এছাড়াও, কয়েকটি ছোটো-খাটো শিল্পকারখানাও এখানে রয়েছে।

শিক্ষা ও সংস্কৃতি:

শিক্ষার দিক থেকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা উন্নত। এখানে কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংস্কৃতির দিক থেকে উপজেলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। দুর্গাপূজা, নববর্ষ, ঝুলন মেলা প্রভৃতি উৎসব এখানে ব্যাপকভাবে পালিত হয়।

প্রশাসন:

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ৯ টি ইউনিয়নে বিভক্ত। প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি থাকে।

আরও তথ্য:

এই লেখাটি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ। বিস্তারিত তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখতে পারেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ঢাকা বিভাগের মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা।
  • প্রাচীনকালে বিক্রমপুর নামে পরিচিত ছিল এবং বহু শতাব্দী ধরে রাজধানী হিসেবে বিখ্যাত ছিল।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • অর্থনীতি প্রধানত কৃষি ও শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
  • শিক্ষা ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে।
  • ৯টি ইউনিয়নে বিভক্ত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।