মাওলানা আহমদ হোসাইন

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী: একজন জাতীয়তাবাদী, দার্শনিক, সুফি, লেখক ও ইসলামি পণ্ডিত

মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী (৬ অক্টোবর ১৮৭৯ - ৫ ডিসেম্বর ১৯৫৭) ছিলেন উনিশ-বিংশ শতাব্দীর ভারতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, সুফি, লেখক এবং ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, খিলাফত আন্দোলন, এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:

তিনি উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার বাঙ্গারমৌ মৌজায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯২ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন এবং মাহমুদ হাসান দেওবন্দির অধীনে ইসলামি শিক্ষায় ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। ১৮৯৯ সালে তিনি মদিনায় যান এবং মসজিদে নববীতে অবৈতনিক শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯১৫ সালে, মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মদিনায় আগমন করেন, এবং মাদানীও তাঁর সাথে যুক্ত হন।

রাজনৈতিক জীবন:

১৯২০ সালে মুক্তিলাভের পর, তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং কংগ্রেস ও খিলাফত আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মাহমুদ হাসান দেওবন্দির মৃত্যুর পর, তিনি দেওবন্দ আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে, তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করা হারাম ঘোষণা করেন, যার ফলে তিনি গ্রেফতার হন। তিনি ভারত ভাগ ও দ্বিজাতি তত্ত্বের বিরোধী ছিলেন এবং অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন। তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতিও ছিলেন।

দারুল উলুম দেওবন্দ:

মাদানীর সময়কালে, দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। তাঁর শিক্ষা ও ইসলামি শাস্ত্রে অবদানের জন্য তাকে 'শায়খুল ইসলাম' উপাধি দেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন।

লেখনী:

তিনি 'সম্মিলিত জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম', 'নকশে হায়াত', 'হামারা হিন্দুস্তান আওর উসকে ফাজায়েল' সহ বেশ কিছু গ্রন্থ রচনা করেন।

মৃত্যু:

১৯৫৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মাজারে কাসেমিতে তাকে সমাহিত করা হয়।

এই লেখাটি মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানীর জীবন ও কাজের উপর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, তাঁর জীবনীগ্রন্থগুলি পড়ুন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী ছিলেন একজন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, সুফি, লেখক এবং ইসলামি পণ্ডিত।
  • তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও খিলাফত আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  • তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিস এবং জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি ছিলেন।
  • তিনি ভারত ভাগের বিরোধী ছিলেন এবং অখণ্ড ভারতের পক্ষে ছিলেন।
  • তাকে ইসলামি শাস্ত্রে অবদানের জন্য 'শায়খুল ইসলাম' উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
  • তিনি ১৯৫৪ সালে পদ্মভূষণ পদক লাভ করেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মাওলানা আহমদ হোসাইন

মাওলানা আহমদ হোসাইন সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।